এইচ এম মিলন,কালকিনি (মাদারীপুর): সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হযরত সুরেশ্বরী (রাঃ) এর ভক্ত অনুসারীরা উপজেলার ২০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ শুক্রবার ঈদ উল ফিতর উদযাপন করবেন। এ বিষয় নিশ্চিত করেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইন।
সুরেশ্ব দ্বায়রা শরীফের প্রধান গদীনশীন পীর ও আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব খাজা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আক্তার হোসাইন জানান, ১৪ জুন বৃহস্পতিবার মধ্য প্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা গেলে সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করবেন।
তাই সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের সাথে মিল রেখে উপজেলার সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, আউলিয়াপুর, রামারপোল, ছবিপুর, ছিলিমপুর, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা ও রাজারচরসহ অন্তত ২০ গ্রামের প্রায় ৩০হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুক্রবার ঈদ উল ফিতর উদযাপন করবেন।
সাহেবরামপুরের আন্ডাচরে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ সকল গ্রামের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ঈদের আনন্দ। সুরেশ্বর পীরের ভক্তদের মতে, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাছাড়া মক্কা শরীফ থেকে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র ৩ ঘন্টা।তাই মক্কাবাসীসহ মধ্য প্রাচ্যের মুসলমানরা যেদিন রোজা রাখেন তারাও সেদিন থেকে রোজা করে থাকেন। তারা মনে করেন, ৩ ঘন্টা সময়ের পার্থক্যের জন্য ২৪ ঘন্টা পার্থক্য মানা যুক্তিযুক্ত নয়।
উল্লেখ্য, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর অনুসারীরা ১৪৬ বৎসর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ উল আযহা পালন করে আসছেন।
আপনার মতামত লিখুন :