শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০১৮, ০৮:০১ সকাল
আপডেট : ১৪ জুন, ২০১৮, ০৮:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাউজানে ৬ লাখ মানুষ পানি বন্দি

কামরুল ইসলাম বাবু, রাউজান (চট্টগ্রাম): রাউজানের ৬ লাখ মানুষ গত ৩ দিন ধরে পানি বন্দি হয়ে আছে। আমবশ্যা তিথির প্রভাবে জোয়ারের বর্ধিত পানি পাহাড়ী ঢলের পানি সাথে যোগ হওয়ায় পরিস্থিতির আরো নাজুক হয়েছে। রাত দিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় রাতে বৃষ্টি হলে আরো পানি বৃদ্ধির আশংকা করা হচ্ছে।

বুধ ও বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, উপজেলার উত্তারাংশের পাঁচটি ইউনিয়নের মত দক্ষিণ রাউজানের প্রতিটি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও মানুষের বাড়ীঘর হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়েছে। পানি স্রোতের তীব্রতায় ভেসে গেছে কয়েক’শ চাষের পুকুরের মাছ। উপজেলার চিকদাইর এলাকার সবচেয়ে বড় মৎস্য হ্যাচারীটির (সোনালী) প্রায় কোটি টাকা মাছ ভেসে গেছে। হ্যাচারীর মালিক উজ্জল দাশ গুপ্ত বলেছেন পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষায় তিনি কিছু ব্যবস্থা রেখেছিলেন। পাহাড়ী পানির প্রবল স্রোতের তার সব ব্যবস্থা অকার্যকর করে কোটি টাকার মাছ ভেসে নিয়ে গেছে। হলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার বেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন স্রোতে টানে তার এলাকার একটি খামারে শতাধিক মুরগি ভেসে গিয়ে মারা গেছে।

দুর্গত লোকজন বলেছেন, গত তিন দিন থেকে অনেক পরিবারে চুলায় হাঁড়ি বসেনি। অনেকেই গবাধি পশু নিয়ে পড়েছে রয়েছে। এসব প্রাণি রাখার জন্য চাদযুক্ত শুকনা জায়গা পাচ্ছেন না। এখানে অনেকই আশ্রয় নিয়েছে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির গুলোতে। তারা সেখানেই ইফতার সেহেরি খাচ্ছেন। বর্তমান বিরাজমান আবহাওয়ায় কবে নাগাদ বাড়ী ফিরতে পারবেন তাও কেউ ভাবতে পাচ্ছেন না। জানা যায় আশ্রয় শিবির সমূহে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় নোঙ্গরখানা খুলে আশ্রিতদের খাবার দিচ্ছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বাররা।

স্থানীয় সাংসদ এ.বিএম ফজলে করিম চৌধুরী দুর্গতদের অবস্থা সরজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্গতদের জন্য এলাকার সাংসদ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লাখ ও উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে এক লাখ টাকা প্রদান করেছেন। এই টাকার সাথে উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দ দেয়া পাঁচ লাখ টাকাসহ দুর্গতদের সহায়তায় দেয়া হয়েছে ২০ টন খাদ্য শস্য।

রাউজানের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন গত বছরও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসে সাজানো রাউজানকে তছনছ করে দিয়েছিল। এক বছর ধরে কাজ করার পর যখন স্বস্তির নিঃশেষ ফেলতে যাচ্ছিলাম, ঠিক সেই সময়ে ঈদের আগে আবারো প্রাকৃতি দুর্যোগের শিকার হল রাউজানের মানুষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়