শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০১৮, ০৫:৫১ সকাল
আপডেট : ১৪ জুন, ২০১৮, ০৫:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৌদি নারীরা এখনও যে পাঁচ কাজ করতে পারে না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নারীদের জন্যে বিশ্বের সবচেয়ে রক্ষণশীল দেশগুলোর একটি সৌদি আরবে নারীরা এবার এমন একটি অধিকার পেতে যাচ্ছেন যেটা তারা উদযাপন করতেই পারেন। বিবিসির সাংবাদিক মেঘা মোহান তার শৈশবে ছিলেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। তিনি বলছেন, সেসময় তার মা যখনই স্বামীকে ছাড়া কোথাও যেতে চেয়েছেন তখনই তাকে তার পিতার কাছ থেকে লিখিতভাবে অনুমতি নিতে হতো।

দেশটিতে নারীর গাড়ি চালানোর উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটা তুলে নেওয়া হচ্ছে ২৪শে জুন। ফলে তারা খুব শীঘ্রই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে পারবেন। হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে পারেন, খেলা দেখতে পারেন স্টেডিয়ামে গিয়ে এবং পারেন গাড়ি চালাতে। সৌদি আরবে সমাজকে আধুনিক করে তুলতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন তার অংশ হিসেবেই নারীদেরকে সেসব অধিকার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সৌদি আরবে নারী হয়ে জন্ম নিয়ে সেখানে বসবাস করা এখনও খুব একটা সহজ কিছু নয়। - খবর বিবিসির

তবে একটা জিনিস বলে রাখা ভালো, সৌদি আরবে কোন কোন নারী হয়তো এখনও এ কাজগুলো করছেন। আর কোন নারী যদি বিদেশি হন কিম্বা খুব বেশি ধনী হন তাহলে তার পক্ষে এসব আইন ভঙ্গ করা সহজ। আবার সরকার যদি চায় তাহলে এসব আইন পালনে তারা অত্যন্ত কঠোর হতে পারে। পারে কড়া শাস্তি দিতেও। তাই নারীরা যদিও খুব শীঘ্রই রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারবেন তারপরেও সৌদি আরব পুরুষদের একটি দেশ।

১.  একজন নারী হয়তো গাড়ি চালাতে পারবেন কিন্তু গাড়ী কিনতে পারবেন না। পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া একজন নারী এখনও তার নিজের কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন না। সৌদি আরবে অভিভাবকত্ব সংক্রান্ত যে ব্যবস্থা আছে তার কারণেই সেটা করা সম্ভব নয়। এর অর্থ হলো প্রত্যেক নারীর একজন করে পুরুষ অভিভাবক আছেন যিনি তার পক্ষ হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।

২. পাসপোর্ট নিতে পারেন না অথবা বিদেশে যেতে পারেন না। গাড়ি চালিয়ে হয়তো বিমান বন্দর পর্যন্ত যেতে পারবেন কিন্তু কোন পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া ওই নারী বিমানে উঠতে পারবেন না।

৩. বিয়ে করতে কিংবা তালাক দিতে পারেন না। কাউকে বিয়ে করতে চাইলে পুরুষ অভিভাবকের কাছ থেকে এবিষয়ে অনুমতি নিতে হবে। ওই নারীর পাঁচ বছর বয়সী একজন ছোট ভাইও কিন্তু তার অভিভাবক হতে পারেন। ওই বিয়ে যদি ঠিকমতো চলতে না থাকে তখন কি হবে? বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাকের জন্যেও ওই নারীকে তার স্বামীর অনুমতি নিতে হবে।

৪. কোন পুরুষ বন্ধুর সাথে বসে কফি খেলতে পারেন না। ম্যাকডোনাল্ডস বা স্টারবাক্স যেকোনো দোকানেই পরিবার এবং পুরুষদেরকে আলাদা আলাদা জায়গায় বসতে হবে। আর সকল নারীকে বসতে হবে পরিবারের জন্যে নির্ধারিত এলাকায়। যদি সেরকম না হয় তাহলে ওই নারীকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।

৫. কোন নারী যখন জনসমক্ষে আসবেন তখন তার মুখ ঢাকতে হবে না। কিন্তু তার শরীর আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে হবে। কোন নারী যদি সমুদ্রে সৈকতে বেড়াতে যান সেখানে বিকিনি পরার কোন সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে যে সৌদি আরবে গড় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সূত্র : আরটিএনএন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়