শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০১৮, ০৫:৩৯ সকাল
আপডেট : ১৪ জুন, ২০১৮, ০৫:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসিনা যে সুযোগ পেয়েছেন, খালেদা কেন পাবেন না?

রবিন আকরাম : বিএনপি'র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের হাসপাতালে পাঠাবে না সরকার। অথচ এক সময় শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দু'জনেই বন্দি অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল বেছে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।

ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর শেখ হাসিনা স্কয়ার হাসপাতালে ১৫ দিন ভর্তি ছিলেন। তখন খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল ইউনাইটেড হাসপাতাল।

ওয়ান ইলেভেনের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি প্রিজন ছিলেন মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী। তিনি জানান, তখন দুই নেত্রী শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের সংসদ ভবন এলাকার সাবজেলে রাখা হয়েছিল। ওই সময়ে চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনাকে বেশ কয়েকবার সাব জেল থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। তাকে একবার ১৫ দিন ভর্তিও রাখা হয় স্কয়ার হাসপাতালে। অন্যদিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসার জন্য নেয়ার অনুমতিও ছিল। কিন্তু তখন কারাগারে থাকা অবস্থায় প্রয়োজন হয়নি বলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়নি। প্রয়োজন হলে নেয়া হতো। দু'জনকেই তাদের পছন্দমতো চিকিৎসা সৃবিধা দেয়া হয় তখন।

তিনি বলেন, তবে কারাবিধি অনুযায়ী কারাবন্দিদের কারা হাসপাতাল বা অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়৷ যদি সরকারি হাসপাতালে সেই চিকিৎসা সুবিধা না থাকে, তাহলে প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়া যায়। যেমন, ঢাকার বাইরে, যেমন ধরুন যশোর জেনারেল হাসপাতালে এক্সরে মেশিন নষ্ট, সেক্ষেত্রে বাইরের হাসপাতালে এক্সরে করানো হয়। তবে কারাবিধি'র চেয়েও বড় কথা হলো সরকারের ইচ্ছা। সরকার প্রয়োজন মনে করলে কারাবন্দি যে কাউকে যে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পারে।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের কারা হাসপতালগুলোতে চিকিৎসার ব্যবস্থা ভালো না। পর্যাপ্ত জনবলও নেই। সাধারণভাবে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-তে চিকিৎসা দেয়া হয়।

জানা গেছে, ওয়ান ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তারা চিকিৎসার জন্য জামি নিয়ে দেশের বাইরে চলে যান। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল এবং মোহাম্মদ নাসিম প্রথমে বিএসএমএমইউ-তে এবং পরে ল্যাব এইডে ভর্তি ছিলেন।

খালেদা জিয়ার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তার ভাই শামীম ইস্কান্দার মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন করেন। এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু সরকার খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দেবে না। খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদন পাওয়ার পর ওইদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, খালেদা জিয়া চাইলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল(সিএমএইচ)-এ চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। ডয়চে ভেলে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়