শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৪ জুন, ২০১৮, ১০:২২ দুপুর
আপডেট : ১৪ জুন, ২০১৮, ১০:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মধ্যরাতেও জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্রেতাদের ভিড় দেখে শপিং মল ও মার্কেটগুলোতে বোঝার উপায় নেই যে রাত ১২টা পার হয়েছে অন্তত এক ঘণ্টা আগে। চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। বৃহস্পতিবার ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। অফিসের কাজ শেষ করেই নাড়ির টানে বাড়ির পথে রওনা দেবেন ঢাকার অধিকাংশ কর্মজীবী।

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যস্ততার কারণে যারা নতুন কাপড় কিনতে পারেননি বা আরও কিছু কেনাকাটা বাকি রয়েছে, তাদের ভিড়টাই বেশি শপিংমলগুলোতে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজধানীর অধিকাংশ মার্কেট খোলা রয়েছে মধ্যরাতেও।
বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, পান্থপথ এলাকার মার্কেটগুলোতে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। খোলা রয়েছে মার্কেটে ঈদ কেনাকাটার জন্য প্রায় সবকটি দোকান।

ধানমন্ডি এলাকায় ক্রেতাদের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও বেশ ভিড় রয়েছে নিউমার্কেট ও বসুন্ধরা শপিংমল এলাকায়। মধ্যরাতেও পছন্দের পোশাক ও প্রসাধনী কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।

নিউমার্কেটে রয়েছে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। তেমনি রয়েছে বিক্রেতাদের হাঁকডাক। মানসুরা ফ্যাসনের সেলসম্যান জানান, বিক্রি ভালো হচ্ছে। ক্রেতা অনেক। গত সপ্তাহে কেনার চেয়ে ঘুরে দেখার মানুষ বেশি ছিল। আজকে ক্রেতাদের সংখ্যাই বেশি।
সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম দেখা গেছে নিউমার্কেটের ফুটপাতের দোকানগুলোতে। সেখানে ক্রেতাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।

মোহাম্মদপুর থেকে কেনাকাটার জন্য নিউমার্কেট এসছেন আফরোজা। মধ্যরাতে মার্কেটে আসার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কেটে আসছি ইফতারের পর। বিভিন্ন মার্কেটে ‍ঘুরতে ঘুরতে রাত হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাব। তাই যা কেনার বাকি ছিল সেগুলো কিনছি।’

একই চিত্র বসুন্ধরা শপিং মলে। রাত ১টার দিকেও ক্রেতারা মার্কেটে প্রবেশ করছেন। তবে কেনাকাটা শেষ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি।

কল্যানপুরের বাসিন্দা নাফিস আহমেদ। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে গ্রামের বাড়ি বরিশালের পটুয়াখালির পথে রওনা হবেন। তিনি বলেন, ‘আজকে নতুন তেমন কিছু কেনা হয়নি। পাঞ্জাবিটা পরিবর্তন করতে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম ঈদের পর চেঞ্জ করব। পরে শুনলাম রাতেও মার্কেট খোলা থাকবে। তাই আজকেই চেঞ্জ করতে এসেছি।’
ঈদ বাজারে অন্য যেকোনও দিনের তুলনায় আজকের বিক্রি ভালো বলে জানিয়েছেন বসুন্ধরা শপিং মলের ‘এসটাসি’র সেলসম্যান রাব্বি। তিনি বলেন, ‘আজকের ক্রেতার সংখ্যা ভালো। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ১টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা ছিল। আজকে যেহেতু ক্রেতারা এখনও আসছে তাই আরও রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে।’ বাংলা ট্রিবিউন

নিউমার্কেট বা বসুন্ধরা শপিংমলেও মতো অনেক ক্রেতা না থাকলেও ধানমন্ডি ২৭ এর ‘রাপা প্লাজা’য় মোটামোটি ক্রেতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জামাকাপড় কেনার পাশাপাশি প্রসাধনী সামগ্রী ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক বিক্রেতা। জুতার দোকানেও রয়েছে ক্রেতাদের আনাগোনা।
প্রসাধনী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ‘আলমাস’ এর বিক্রেতা জসিমুল হক জুবায়ের জানান, রাত দেড়টা বাজে। এখনও ক্রেতারা আসছেন। অন্যদিন সাড়ে ১২টার মধ্যে দোকান বন্ধ করে ফেলি। আজকের আরও কিছুটা সময় খোলা থাকবে।

একই মার্কেটে রয়েছে জুতা বিক্রির প্রতিষ্ঠান ‘বাটা’। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিক্রেতা সুমন বলেন, ‘বিক্রি মাশাল্লাহ ভালো। ঈদ মার্কেট ছাড়া ৯টার মধ্যে দোকান ক্লোজ করা হয়। আজকে অলরেডি ১২টা বাজে। যতক্ষণ ক্রেতা আছে দোকান খোলা থাকবে।’
তবে খুব একটা ক্রেতা দেখা যায়নি ধানমন্ডির মেট্রো শপিং মল, অ্যামপাইয়ার প্লাজা, আনাম র‌্যাংস প্লাজা ও সীমান্ত স্কয়ারে।

প্রতিটি শপিং মল, মার্কেটে রয়েছে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রয়েছে পুলিশের অবস্থান। এছাড়াও রয়েছে মার্কেটগুলোর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এছাড়াও কেনাকাটা শেষে ঘরফেরত মানুষের জন্যও রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে দেখা গেছে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে।
নিরাপত্তার প্রসঙ্গে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, ‘রাতে মানুষের নিরাপত্তার জন্য চেকপোস্ট রয়েছে। আছে ফুট পেট্রল। একই সঙ্গে টহল গাড়ি রয়েছে রাস্তাতে।’

যমুনা ফিউচার পার্কেও রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। রাত সাড়ে ১২টার সময় কেনাকাটা করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। পরিবারের সদস্যদের নিয়েও মধ্যরাতে শপিংমলে আসতে দেখা গেছে অনেককে। ‘নবরুপা’ আউটলেটের ইনচার্জ সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ আজ (বুধবার) সরকারি ছুটির দিন, তাই লোকজন বেশি। গতকাল লোকজন কম ছিল। নিয়মমতো ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলে ক্রেতা থাকায় মার্কেট খোলা রয়েছে।’
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাশেদ জানান, দিনে চাপের কারণে আসতে পারিনি। এজন্য রাতে আসছি।

এদিকে উত্তরা এলাকায় বড় বড় শপিং মলগুলো রাত ১২টার মধ্যে বন্ধ হয়ে গেলেও ফুটপাতে রয়েছে ক্রেতাদের সমাগম। এছাড়া ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে উত্তরার আজমপুর বঙ্গবাজারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়