শিরোনাম
◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০১৮, ১০:২৭ দুপুর
আপডেট : ১৩ জুন, ২০১৮, ১০:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জেনেভা ক্যাম্পে থেমে নেই মাদক ব্যবসা

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক অভিযানের পরও রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পে মাদক বিক্রি থেমে নেই। অভিযোগ রয়েছে জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসায়ীদের মদদ দিচ্ছেন সীমা নামের এক নারী। মাদক ব্যবসায়ী মোল্লা আরশাদ, নাদিম ওরফে পচিশ, আরমান, রাকিব, শাহজাদা, আসগরসহ স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এই সীমার। ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ক্যাম্পের সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারকে সহযোগীতার জন্য ক্যাম্প এলাকায় নন-লোকাল রিলিফ কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি নিয়োগ দিয়ে থাকে জেলা প্রশাসক। প্রত্যেক অঞ্চলে বিহারী ক্যাম্প পরিচালনা ও ত্রাণ বিতরেনর জন্য এরকম কমিটি রয়েছে তবে জেনেভা ক্যাম্পে চেয়ারম্যান থাকলেও ত্রাণের কোনো হদিস নেই। উল্টো সাধারণ জনগণের নিকট থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাদা আদায় করে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের অর্থের মদদে চলছে সীমার রমরমা ব্যবসা।

গত বছরের জানুয়ারিতে জেনেভা ক্যাম্পের চেয়াম্যান এস. কে গোলাম জিলানী বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সহ গ্রেপ্তার হন এবং চলতি বছরে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনেও মামলা হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দেওয়া এবং রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা থাকায় জামিন পেলেও তিনি আর ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে তার পক্ষে বর্তমানে কাজ করছেন চেয়ারম্যান জিলানীর সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত সীমা কোরায়শী। মাদকের টাকা ও ক্যাম্পের জনগণের টাকা হাতিয়ে কোটিপতি হওয়া। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পের স্বঘোষিত চেয়ারম্যান দাবি করেন সীমা কোরাইশি।

জানা যায়, গতবছর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি লটারির মাধ্যমে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে নন-লোকাল রিলিফ কমিটির কার্যালয় দখল করার চেষ্টা করেন তিনি। ক্যাম্পের বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ করলে সহযোগীতা নেন মাদক ব্যবসায়ী পচিশ, আরমান, রাকিব ও শাহজাদার। ঘোষণার পরদিনই মাদক বিক্রেতাদের একটি বড় অংশকে সাথে নিয়েই ক্যাম্পে প্রবেশ করে রিলিফ কমিটির অফিস দখল করেন তিনি। এসময় বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ফুলেরতোড়া দিয়ে সীমা কোরাইশীকে বরন করে। এরপর থেকে জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা আরো জোরেশোরে শুরু হয়। সীমা কোরাইশীর বিরুদ্ধে জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মোহাম্মদপুর থানায় ৫০টিরও বেশি জিডি করা করেছেন। তারা এই সীমা কোরাইশীর দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবি করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়