আসিফুজ্জামান পৃথিল : পৃথিবীর ৬টি দেশে পুরুষ ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারীর চাইতে নারী ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা বেশী। ১৪০টি দেশে চালানো জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ কোটির বেশী প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব রয়েছে। যা প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৬৯ শতাংশ।
এ রিপোর্টের তথ্য মতে, এক্ষেত্রেও নারীরা পিছিয়েই আছেন, কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যাদের ব্যাংক হিসেব আছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৭২ শতাংশ আর নারী ৬৫ শতাংশ। তবে ৬টি দেশ এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এই দেশগুলোতে পুরুষ ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারীর চাইতে নারী ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা বেশী। এই দেশগুলো হলো; আর্জেন্টিনা, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মঙ্গোলিয়া ও ফিলিপাইন। ২০১১ সালের হিসেবেও নারী পুরুষের ব্যবধান ছিলো একই।
বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ লিওরা ক্ল্যাপার এবিষয়ে জানান, ফিলিপাইনে যেমন অনেক বেশি সংখ্যায় নারীরা দেশের বাইরে যাচ্ছেন কাজে এবং তাদের ব্যাংক হিসেব আছে। পরিবারকে সহায়তা করতে এসব নারীরা প্রচুর অর্থ পাঠান রেমিটেন্স হিসেবে। আবার ছয়টি দেশেই (লাওস ছাড়া) সরকারি নানা কর্মসূচিতে নারীরা নগদ অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন যে অর্থ তাদের ব্যাংক হিসেবে জমা হয়। মঙ্গোলিয়াতে যেমন ৪৩ শতাংশ নারী এমন অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন যেখানে দেশটির ২৪ শতাংশ পুরুষ এমন সহায়তা পায়। ইন্দোনেশিয়ায় বছরে অন্তত একবার অর্থ জমা কিংবা প্রত্যাহার সচল থাকা ব্যাংক হিসেব গুলোতে নারী ও পুরুষের উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই। যদিও অন্যভাবে দেখলে একটি কারণে নারীদেরই বেশি ব্যাংক হিসেব হবে কারণ কিছু সরকারি কর্মসূচি থেকে তারা অর্থ পেয়ে থাকে। কিন্তু এসব কর্মসূচিগুলো থেকে টাকা উত্তোলনের পর অনেকেই আবার এ ধরণের ব্যাংক হিসেবগুলো বন্ধ করে দেন। তবে এখানে অন্য আরেকটি বিষয়ও আছে। সেটি হলো ফিলিপিন্স ছাড়া অন্য দেশগুলোতে সচল থাকা হিসেবের সংখ্যায় নারীরা যে পুরুষের চেয়ে বেশি হবে সেটি নয়। ভারত যেমন ব্যাংক হিসেব খোলার ক্ষেত্রে লিঙ্গ পার্থক্য অনেকটা কমিয়ে এনেছে কিন্তু নারীদের নামে থাকা ব্যাংক হিসেবে অন্তত অর্ধেক নিষ্ক্রিয়।
আর এটিকেই ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন লিওরা ক্ল্যাপার। বিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :