ড. অনুপম সেন : আমাদের বাজেটের আকৃতি ক্রমশ বড় হচ্ছে, কিন্তু আমাদের বড় আকারের আয়করদাতা যারা আছেন, তাদেরকে আয়করের আওতায় আনা হয় না। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন এবং লোন পরিশোধের সময় হলে তারা তাদের ব্যবসায় লোকসান দেখান, ব্যাংক কর্মকর্তাদের। এভাবে তারা নানাভাবে আয়কর থেকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। কর দেয় সাধারণত মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং অনেক সময় নিন্ম মধ্যবিত্তরা কর দিয়ে থাকে। আমাদের জনগণের মধ্যে আয়করের প্রবণতাটা দিন দিন বাড়ছে।
আমাদের এখনো এ সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি, যারা আয়কর দিচ্ছে তারা সমাজের, রাষ্ট্র্রের, সমাজের মানুষের কল্যাণের জন্য। রাস্তার কাজ এবং হাসপাতাল জনগণের আয়কর বা অন্যান্য করের উপর নির্ভর করেই চলে। আমাদের দেশে ৮০’র দশক থেকে একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তা হচ্ছে ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি এবং এর সূচনা জিয়াউর রহমান সাহেব করেছেন। উনি টাকার কোনো সমস্যা নেই বলেছেন। কিছু প্রতিষ্ঠানকে সমান্য বলে তার উপর ভিত্তি করে সারা রাষ্ট্রের আনুকুল্য, তাদের বড় আকারের ঋণ দেওয়া হলো। সেই সব ঋণ আর পরিশোধ করা হলো না।
সেই থেকে ঋণ খেলাপির যে একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, এই সংস্কৃতিটা এখন পর্যন্ত চলমান। ব্যাংক লুন্ঠনের শুরুটা তিনিই করেছেন। এসমস্ত কাজের জন্য বড় ব্যাংকগুলোই সমস্যায় পড়ে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বিসিসিআই এর কথা বলতে পারি, তা কিন্তু পাকিস্তানি ব্যাংক, তা কিন্তু ফেল মারলো এবং বংলাদেশ এখন তা গ্রহণ করে ইবিএল নাম দিয়ে চালাচ্ছে।
পরিচিতি : উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য, আওয়ামী লীগ/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :