আহমেদ জাফর: বিএনপিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক সংকটের কারণে কালো ছায়া পড়ছে শেখ হাসনিার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার উপর।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত শেখ হাসিনার কারা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে রাজধানীর এক কনভেনশন সেন্টারের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার পরিকল্পনা, সাহসি ভূমিকায় ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু অন্য একটি দলের রাজনৈতিক সংকটের কারণে শেখ হাসিনার উন্নয়নের উপর কালো ছায়া পড়ছে।
মাদকবিরোধী অভিযানের কথা উল্লেকখ করে বলেন, খারাপ কে খারাপ আর ভালকে ভাল বলতে হবে। আগামী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদকের ছোবলে থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে আরো কঠর হতে হবে। একটি মতলবি মহল সবসময় মাতামাতি করে। কিন্তু মানুষ যেখানে খুশি, সেটি আমরা করে যাবো।
বিএনপির ভারত সফর নিয়ে কাদের বলেন, বিএনপির ভারত সফর নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ জনগণ ক্ষমতায় বসাবে, ভারত না। বিএনপি আমাদের ভারত সফর নিয়ে অভিযোগ করেছে, কিন্তু আমাদের কোন অভিযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-৭ সম্মেলে প্রধানবক্তা হিসেবে যোগদিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, এটা আমাদের বাঙ্গলি জাতির জন্য গর্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-৭ সম্মেলে রোহিঙ্গা সমস্যা, ধনী-গরিবের বৈষম্য নিয়ে ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, এগারো মাস পরে শেখ হাসিনা মুক্তি পেয়ে ছিলেন কিন্তু এদেশে আরেকজন নেত্রী আছে, তাকে কী ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে? শুনতে পেয়েছি ব্যাক্তিগত গ্রহপরিচালিকা তখনো তিনি সেই সাব জেলে রাখার অনুমতি পেয়ে ছিলেন। যেটা জেল কোড এলাউ করে না। কী অপমান জনক ভাবে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো! বঙ্গবন্ধুর কন্যার সঙ্গে এতো দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। মামলার পর মামলার। বেগম জিয়ার দ্বিগুনের বেশি মামলা শেখ হাসিনার নামে দেওয়া হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক কাজ এক সঙ্গে সবাইকে নিয়ে করার জন্য আহবান তিনি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য কাদের বলেন, মনোনয়ন দিবে মনোনয়ন বোর্ড। যার চেয়ারম্যান দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার কাছে সব খবর আছে। এই মহানগরীতে যারা উইনেবল প্রার্থী, মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য, এটা নিয়ে নিজেরা ঝগড়া করবেন না। অসুস্থ্য প্রতিযোগিতায় পড়লে আমাদের প্রতিপক্ষরা লাভবান হবে। প্রার্থীতা নিয়ে অহেতুক প্রতিদন্ধিতা করবেন না। প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে বিএনপির প্রার্থীর চেয়ে নিজের দলের প্রতিদন্ধিতে বেশি প্রতিদন্ধি ভাববেন এমনও অনেকে আছে। এটা ভালো নয়, জোর করে প্রার্থী হতে পারবেন না। দেশের বেশি ভাগ জেলায় কেন্দ্র কমিটি হয়েছে গেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে মহানগর উত্তর ও দক্ষিনের কেন্দ্র কমিটি করতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একে এম রহমতুল্লাহ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক খান প্রমুখ
আপনার মতামত লিখুন :