শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০১৮, ০৪:০৮ সকাল
আপডেট : ১৩ জুন, ২০১৮, ০৪:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষাখাতের বাজেট ধারাবাহিকভাবে কমছে

কামরুল হাসান মামুন : এবারের বাজেটে সরকারের চিন্তা চেতনায় একটা প্যারাডাইম শিফট ঘটেছে। আমাদের সরকারেরা এ যাবৎ কাল ধরে বাজেট পেশের পর গর্ব করে বলত, একক খাত হিসাবে শিক্ষা খাতে আমরা সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছি। শিক্ষা খাতে বাজেট এখন ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বরাদ্দ মিলিয়ে শিক্ষা খাতে মোট বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৪%।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বরাদ্দ ছিল। এই দুই মন্ত্রণালয় মিলিয়ে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে মোট ৫০ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা মোট বাজেটের ১০.৮৬%। অর্থাৎ ১৪ থেকে ১১, তারপর ১১ থেকে ৯ -এ। এতে স্পষ্ট আমরা দিন দিন এক দিকে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমাচ্ছি অন্যদিকে শিক্ষা খাতে খরচ বাড়াচ্ছি। পৃথিবীর যত সভ্য এবং উন্নত দেশ আছে তারা ব্যয় করে অন্তত মোট বাজেটের ২০%। এইবারের বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় এক হাজার ৪২২ কোটি টাকা বেশি।

তাই আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ সামান্য হলেও বেড়েছে। এটা কি আসলেই গত বছরের তুলনায় বেশি? হ্যা, টাকার অংকে অবশ্যই বেশি। কিন্তু গতবছর থেকে এবারে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েছে, শিক্ষকের সংখ্যা বেড়েছে, টাকার মানের অবমূল্যায়ন আছে, দুর্নীতি বেড়েছে। ইত্যাদি নানা কিছু বিবেচনায় নিলে স্পষ্ট করে বলা যায় শিক্ষায় বাজেট গত বছর থেকে কমেছে। অর্থাৎ সরকারের একটা নৈতিক অবস্থানের পরিবর্তন সুস্পষ্ট। শিক্ষাকে এখন তারা আর অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না। অথচ আমরা নাকি কি আয়ের দেশ থেকে কোন আয়ের দেশে উন্নত হয়ে যাচ্ছি।

পৃথিবী নাকি অবাক বিস্ময়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে দেখছে আর ভাবছে। কেমনে কি? হ্যা, আমিও অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ভাবছি এত সহজে যদি গোটা জাতিকে বলদ বানানো যায়, সেই জাতি এইটাই ডিজার্ভ করে! আশ্চর্য লাগে এরকম নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা মার্কা বাজেট সত্বেও কোথাও কেউ তেমন প্রতিবাদ করছে না। উল্টো এটাকে ভোটার তুষ্টির বাজেট বলা হচ্ছে। তার মানে কি সরকার মনে করে শিক্ষায় বাজেট কমালে জনগণ বেশি তুষ্ট হবে?

পরিচিতি : অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়