শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০১৮, ০৩:৪৯ রাত
আপডেট : ১৩ জুন, ২০১৮, ০৩:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড্রেসিং করা মুরগীর বৈধ ও অবৈধ পদ্ধতি

সাইদুর রহমান : বাজার থেকে মোরগ মুরগি কেনার পর ড্রেসিং করার ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ প্রচলিত কিছু পদ্ধতিতে মুরগির গোশত নাপাক হয়ে যায়। যা খাওয়া যাবে না।

বাজারে জবেহ করা মুরগি ড্রেসিংয়ের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। যথা- ক. জবেহ করা মোরগ-মুরগি ইত্যাদি যদি পরিষ্কার উত্তপ্ত গরম পানিতে এ পরিমাণ সময় চুবিয়ে রাখা হয়, যার ফলে পেটের ভিতরের নাপাকির আছর (ক্রিয়া) গোস্তে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে গোস্ত নাপাক হয়ে যাবে।

খ. ড্রেসিংয়ের পূর্বে যে পানিতে চুবানো হয়, সেই পানি যদি গলার কর্তিত অংশে লেগে থাকা প্রবাহিত রক্ত বা মল-বিষ্ঠা ইত্যাদির কারণে নাপাক হয়ে থাকে। এরপর সেই নাপাক পানিতে যদি মোরগ-মুরগি এ পরিমাণ সময় চুবিয়ে রাখা হয়, যাতে নাপাক পানি গোস্তের ভিতরে প্রবেশ করে, তাহলেও সেই গোস্ত নাপাক হয়ে যাবে।

আর যদি এর চেয়ে কম সময় রাখা হয়,তাহলে ভিতরের গোস্ত নাপাক হবে না। তবে বাহিরের অংশ নাপাক হওয়ায় তিনবার ধুয়ে নিবে। তাই সতর্কতামূলক প্রচলিত পদ্ধতিতে ড্রেসিং না করাই উত্তম।

তবে যদি একান্ত করতেই হয়, তাহলে পূর্বের ব্যবহৃত পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি গরম করে এত অল্প সময় চুবিয়ে রাখবে, যাতে ভিতরের নাপাকি গরম পানির প্রভাবে গোস্তের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে।

উল্লেখ্য যে, জবেহ করার পর গলার কর্তিত অংশে লেগে থাকা রক্ত ও পেটের নাড়িভুঁড়ি দূর করে ড্রেসিং করলে গোস্ত পবিত্র থাকবে এবং এটাই ড্রেসিংয়ের সর্বোত্তম পদ্ধতি। (ফাতহুল কাদীর,(১/২১১) মারাকিউল ফালাহ, ১৬০ ফাতাওয়া দারুল উলূম হাটহাজারী ফতওয়া নং০৫)
সারকথা হলো, মুরগীর পেটে থাকা নাড়িভুরি তথা ময়লা বের করার পর যদি ড্রেসিং করে তাহলে উক্ত মুরগী খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ময়লা বের না করে যদি গরম পানিতে চুবানো হয়, আর তাতে নাড়িভুরির ময়লা গোস্তের সাথে মিলে যায়, তাহলে উক্ত মুরগী নাপাক সাব্যস্ত হবে, এবং তার গোস্ত খাওয়া জায়েজ হবে না।

আর সাধারণতঃ মুরগীর নাড়িভুরি বের না করে গরম পানিতে রাখলে মুরগীর গোস্তের সাথে নাড়িভুরির নাপাক মিশে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে, তাই একাজটি অবশ্য বর্জনীয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়