লিহান লিমা: বহু দশকব্যাপী আন্তরিক সম্পর্ক ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সম্পর্ক বাণিজ্যযুদ্ধের ইস্যুতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বৃহত্তম এই প্রতিবেশি দেশটির শুল্কারোপের ঝক্কি ঠেকানোর খুব কম সুযোগ রয়েছে অটোয়ার কাছে।
জি-৭ সম্মেলনে পারস্পরিক সমস্যা সমাধান ও সমঝোতার বদলে কানাডার ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন ট্রাম্প। ট্রুডোকে ‘অসৎ এবং ইঁচড়ে পাকা’ বলে অভিহিত করেন। এছাড়া ট্রাম্প কানাডার গাড়ি রপ্তানির ওপরও শুল্কারোপের হুমকি দিয়ে বলেন, এটি হলে কানাডার অর্থনীতি বিপদের মুখে পড়বে।অটোয়াও ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্কারোপের কথা জানায়।
কিন্তু রয়টার্সের খবরে বলা হয়, অর্থনৈতিকভাবে ১০ গুণ বড় এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের রেষারেষি মোকাবেলা করতে ব্যাপক ধকল সইতে হবে কানার অর্থনীতিকে। কারণ কানাডা রপ্তানির অন্যতম ও বৃহৎ অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার প্রশাসন বলছে, তারা কিছু মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের এই মিত্র দেশটির প্রতি সহানুভূতিশীল। তারা চেষ্টা করবেন ট্রাম্প যাতে তার হুমকির সবটুকু বাস্তবায়ন না করেন।
দুই দেশের কর্মকর্তারা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫টি রাজ্যে কানাডা পণ্য রপ্তানি করে। অন্যদিকে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ লাখ চাকরির বাজার নির্ভরশীল। রোবার হোয়াইট হাউসের অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন ‘এটা ট্রুডোর জন্য নরকের একটি বিশেষ স্থান।’ এই সময় তিনি কানাডার সমালোচনা করে বলেন, ‘কানাডিয়ানদের ক্যাপিটাল হিল এবং আমাদের মিডিয়া ও রাজ্যগুলোর কাছে লবিং না করে আলোচনার টেবিলে আরো বেশি সময় ব্যয় করা উচিত।’ অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক পেত্রিক ল্যাবলন্ড বলেন, ‘ কানাডার পছন্দ করার পথ সীমিত, এর মানে হল ‘দ্বিতীয় পথ বেছে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে অভ্যন্তরীণভাবে বিরোধী দলসহ সবার সমর্থন পাচ্ছেন ট্রুডো। কিন্তু ‘ট্রাম্প যা বলেন, তার অনেক কিছুই করেন না’ এই আশায় থাকতে হবে কানাডাকে। রয়টার্স।
আপনার মতামত লিখুন :