আসিফুজ্জামান পৃথিল : ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের তুলনায় এই আসরে স্পন্সর থেকে প্রদত্ত আয় কমছে ফিফার। এমনটাই জানিয়েছে ক্রী.ড়া গবেষণা সংস্থা নিয়েলসন স্পোর্টস রিসার্চ। এবছর স্পন্সর থেকে বিশ্ব ফুটবল সংস্থাটির আয় হবে ১৪৫ কোটি ডলার। এর আগের আসরে এই আয়ের পরিমাণ ছিলো ১৬২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
নিয়েলসন জানিয়েছে ২০১৫-১৮ স্পন্সরশীপ সাইকেল আগের দুই বিশ্বকাপের চাইতে বিক্রির জন্য বেশী কঠিন ছিলো। তবে তারা এও জানিয়েছে নতুন কোম্পানি বিশেষত চীনা কোম্পানিগুলো এই আর্থিক ফাঁক পূরণে ভূমিকা রাখছে।
২০১৫ সালের মে মাসে ফিফার গভর্নিং বডির দূর্নীতির চিত্র প্রকাশিত হয়ে গেলে জনসন অ্যান্ড জনসন, ক্যাস্ট্রোল এবং কনন্টিনেন্টালের মতো বৃহৎ পৃষ্ঠপোষকরা ফিফার পাশ থেকে সরে আসে। এরপর থেকেই চীনা কোম্পানিগুলো ফিফার কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়। বর্তমানের চীনের বৃহত্তম প্রোপার্টি কোম্পানি ওয়ান্ডা গ্রুপ ফিফার ৭ পৃষ্ঠপোষকের একটি। বাকিরা হলো কোকাকোলা, অ্যাডিডাস, গাসপ্রম, কাতার এয়ারওয়েজ, ভিসা এবং হুন্দাই।
এদিকে ওয়ান্ডার মালিকানাধীন মিডিয়া কোম্পানি ইনফ্রন্ট মিডিয়ার হাতে রয়েছে এশিয়ার ২৬ দেশে ফিফার সম্প্রচার স্বত্ত্ব। এই ২৬ দেশে ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপ সম্প্রচার করবে কোম্পানিটি। এছাড়াড়াও ২০১৮ বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকদের ৫টির মধ্যে রয়েছে ৩টিই চীনা কোম্পানি। এরা হলো নেমলি টিভি ও ফ্রিজ মেকার হেয়ানসে, ভিভো এবং ডেয়রি ফার্ম মেংনিউ। - বিবিসি বিজনেস
আপনার মতামত লিখুন :