ইসমাঈল হুসাইন ইমু : এবার খোদ পুলিশের ভেতরেই শুরু হচ্ছে মাদবিরোধী শুদ্ধি অভিযান। ঘটা করে নয়-গোপনে পরিচালিত হতে যাচ্ছে এই অভিযান। যারা মাদক ব্যবসায় মদদ দেয় এবং মাদক সেবন করে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে আইনগত ব্যাবস্থা। ইতিমধ্যে সারাদেশে শতাধিক পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ সদর দফতরের ইন্টিলিজেন্স ইউনিট। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য মতে, শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা মাদকে প্রতক্ষ্য পরোক্ষভাবে যুক্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকে যারা যুক্ত অর্থাৎ মাদক ব্যবসা থেকে মাসোহারা নেয়, মদদ দেয় এবং নিজেরা মাদক সেবন করে এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে গুরুদন্ড অর্থাৎ চাকরীচ্যুতি ও গ্রেফতারের মত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যারা পরোক্ষভাবে যুক্ত তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা, লঘুদণ্ড দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স এন্ড স্পেশাল এ্যাফেয়ার্স) মনিরুজ্জামান বলেন, যাদেরকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে –তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। শুদ্ধি অভিযানে পুলিশের ইন্টিলিজেন্স টিম কাজ করছে। টিম তাদের অবস্থান এবং কিভাবে কতদিন ধরে যুক্ত সেসব খতিয়ে দেখছে। এই টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে মাদকে যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, পুলিশের ইন্টিলিজেন্স টিম সারা দেশে মাদক সম্পর্কে পুলিশের অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। শুধু নেতিবাচক কর্মকান্ড নয়। পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য মাদক নির্মূলে অগ্রনী ভুমিকা পালন করলে এই টিমের সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করবে পুলিশ সদর দফতর। যেসব কর্মকর্তাকে মাদকে যুক্ত হিসেব চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে প্রায় সবাই কনস্টেবল থেকে সাব ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার কর্মকর্তা। দু’চারজন ইন্সপেক্টর ও তদুর্ধ্ব কর্মকতাও আছেন ওই তালিকায়।
এ ব্যাপারে পুলিশের এআইজি মিডিয়া সহেলী ফেরদৌস বলেন, আর বরদাশত করা হবে না। আইজিপির নির্দেশনা হচ্ছে মাদকের প্রশ্নে কোন ছাড় নয়। মাদকে যুক্ত কোনো পুলিশ কর্মকর্তার খুটির জোর থাকলেও কোনো ফায়দা হবে না। কারন কোনো রাঘব বোয়াল এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার চেষ্টা করলে তাকেই ব্ল্যাক লিস্ট করতে আইজিপি ইতিমধ্যে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :