আশিক রহমান : শিক্ষা উন্নয়নে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মানি বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে হলেও নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। আমাদেরসময় ডটকম-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগতমান অর্জন করতে হলে শিক্ষক নিয়োগ, তাদে প্রশিক্ষণ ও সম্মানির ব্যাপারটি অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত, তাহলেই কেবল শিক্ষা ব্যবস্থায় যে অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে তা কাজে লাগবে। কেবলমাত্র মাল্টিমিডিয়া স্কুল, দ্বিতল-ত্রিতল ভবন বা বিল্ডিং গড়ে তুলেও ভালো শিক্ষকের অভাবে অনুভূত হলে শিক্ষার গুণগতমান অর্জন প্রায় অসম্ভব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দালান-কোঠা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, বিভিন্ন রকমের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, কারিগরি শিক্ষাসহ অনেককিছুর কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু যে জিনিসটা উপেক্ষিত সেটা হলো শত শত স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই। স্কুলগুলোতে যে পরিমাণ শিক্ষক থাকা দরকার ছিল তা পূরণ হচ্ছে না। এমপিওভুক্তি নিয়েও সমস্যা রয়েছে। এমপিওভুক্ত হয়নি এমন বিশাল একটি বেসরকারি শিক্ষক গোষ্ঠী রয়েছে, তাদের ব্যাপারেও উদ্যোগ থাকতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মীজানুর রহমান বলেন, ডাকার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারী দেশ বাংলাদেশ। সেই ঘোষণাপত্রে লেখা আছে, মোট জিডিপির ৬ শতাংশ আর বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ থাকতে হবে শিক্ষা উন্নয়নে। জাতীয় আয়ের ১.৯ শতাংশ বরাদ্দ ছিল গতবছর, এবার একটু বেড়ে ২.২২ শতাংশ করা হয়েছে। জাতীয় বাজেটে এবার ১২ শতাংশের মতো বরাদ্দ। শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ আরও বেশি হলে ভালো হতো। কিন্তু যে সমস্যাটা দেখা যায়, উন্নয়ন খাতে যে বরাদ্দ হয় তার পুরোটা ব্যয় করার সক্ষমতা আবার শিক্ষা বিভাগের নেই।
তিনি বলেন, শিক্ষা বিভাগের স্থাপনা বা বিল্ডিং অথবা শিক্ষা অবকাঠামো তৈরি করার জন্য যে সংগঠনটি কাজ করে, ইইডি (এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট), এত টাকা খরচ করার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। ফলে শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে দিলেই যে তারা অর্থ খরচ করতে পারবে, এমনটি মনে করি না আমি।
আপনার মতামত লিখুন :