নূর মাজিদ: সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানার আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক(পিএনবি) ২০১৮ সালের জানুয়ারি-মার্চ কোয়ার্টারে ১৩৪.২ বিলিয়ন রুপি বা ১.৯৭ বিলিয়ন ডলারের লোকসান ঘোষণা করে। বিভিন্ন সময়ে অনাদায়ি দেনা আদায়ে ভারতীয় ব্যাংকগুলোর ব্যর্থতা,দুর্নীতি ও ঋণ ব্যবস্থাপনার সার্বিক দূরাবস্থার চিত্র পিএনবি’র এই লোকসান ঘোষণার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এটি ছিলো ভারতের ইতিহাসে কোন একক ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠানের বৃহত্তম লোকসান ঘোষণার ঘটনা।

তবে শুধুমাত্র পিএনবি নয়, ভারত সরকারের ধারণা দেশজুড়ে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ লক্ষ কোটি রুপির ঘরে।

এর আগে দেশটির পার্লামেন্টের সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে দেশটির অর্থমন্ত্রী জানান, শুধুমাত্র ২০১৭ সালের ৩১শে ডিসেম্বর নাগাদ ভারতীয় ব্যাংকগুলোতে ৯ লক্ষ কোটি খেলাপি ঋণ জমা হয়েছে। এর সঙ্গে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত যোগ হয়েছে আরো ১.৩ লক্ষ কোটি রুপি খেলাপি ঋণ। ফলে, এখন পর্যন্ত মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ ট্রিলিয়ন রুপি বা ১৪৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।
তবে ভারতের বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. কে সি চক্রবর্তী ধারণা, আসলে দেশটির সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে এই মুহূর্তে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২০ ট্রিলিয়ন রুপির কাছাকাছি অবস্থান করছে।

দেশটির জনপ্রিয় অর্থনীতি বিষয়ক লেখক বিজয় কাউল’ও এই বিষয়ে একমত। তিনি বলেন, শুধুমাত্র সরকারি ব্যাংকেই এমন চিত্র অধিক তীব্র এমনটা নয়। ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম বেসরকারি মূলধনী প্রতিষ্ঠান এক্সিস ব্যাংক ২০১৮ সালের মার্চ নাগাদ ৯২.৫বিলিয়ন রুপি ঋণ খেলাপের শিকার হয়েছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক আইসিআইসিআই একই সময় ৮০.২০ বিলিয়ন রুপি খেলাপি ঋণ খেলাপের শিকার হয়। এশিয়া টাইমস