শুভ কিবরিয়া : এসব ঘটনা দেখে আমরা ছাত্রলীগকে দোষারোপ করছি বটে কিন্তু মূল সমস্যাকে খতিয়ে দেখছি না। আজকের দিনে ছাত্ররাজনীতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিকশিত হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন সরকারি দলে তা আরও প্রবলতরভাবে বিরাজমান। মূলদলে গণতন্ত্র চর্চার অভাব, ব্যক্তিপূজা, আদর্শহীনদের যে ছাত্ররাজনীতিতেও নীতিহীন কোটারি গ্রুপ তৈরি করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ক্যান্সারবীজ উৎপাদন বহাল থাকলে, শুধু কেমোথেরাপি দিয়েই নীতি-আদর্শ বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নেই বলে ছাত্রসংগঠনকে ভোটারদের কাছে যেতে হয় না। ফলে তারা কোন জবাবদিহিতা চর্চার মধ্যে বেড়ে উঠছে না। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন হলে তো আর কথাই নেই।
ফলে যতদিন না আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন চালু করতে পারবো, ততদিন এই দুষ্টক্ষত আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে। আবার শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন দিলেই হবে না, ওই নির্বাচন যদি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন সংসদ নির্বাচন হয়, তাহলে তো আরো সমস্যার সৃষ্টি হবে। কাজেই সেটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। জাতীয় রাজনীতিতে সুশাসন, গ্রহনযোগ্য নির্বাচন ফিরিয়ে আনতে না পারলে, জবাবদিহিতার রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে না পারলে, ছাত্ররাজনীতিতে ‘রনি মডেল’ উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না।
পত্রিকায় সংবাদ এলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সদরঘাটের যেয়ে এক লংকা কান্ড ঘটিয়েছেন। এক লঞ্চ চালককে গালাগাল, মারধর, কান ধরে উঠবস করিয়েছেন অন্যায়ভাবে। বিষয়টি নিয়ে সদরঘাট চাউর হলেও সদরঘাট টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ বিষয়টি শোনেননি। নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীলরাও ঘটনা সম্পর্কে কিছু না বলেই মিডিয়াকে জানিয়েছেন।
পরিচিতি : নির্বাহী সম্পাদক, সাপ্তাহিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক/ মতামত গ্রহণ : মো.এনামুল হক এনা/ সম্পাদনা : জাফরুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :