শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০১৮, ০৪:০৭ সকাল
আপডেট : ১২ জুন, ২০১৮, ০৪:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশেষ সম্পর্ক থেকে নরকে যাবার রাস্তা পর্যন্ত- ট্রাম্প ট্রুডো সম্পর্ক অবনতির ইতিবৃত্ত

নূর মাজিদ: জি-৭ সম্মেলনের আগে শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে নিজের বাণিজ্য শুল্ক নীতি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন ট্রাম্প। এমনকি উত্তর আমেরিকার প্রতিবেশী দুটি দেশ মেক্সিকো এবং কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নাফটা’ চুক্তিকে তিনি তার পূর্বসূরী মার্কিন প্রেসিডেন্টদের বোকামির ফসল বলেও উল্লেখ করেন। তবে গরম মাথার মধ্যবয়সী ট্রাম্পকে খুব ঠান্ডা মাথায় মোকাবেলা করেছেন তুলনামূলক তরুণ জাস্টিন ট্রুডো।

নাফটা চুক্তি বাতিল করে মেক্সিকো এবং কানাডার উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা স্বত্বেও জি-৭ সম্মেলনের আয়োজনকে আন্তরিক রাখতে চেষ্টার কমতি করেননি ট্রুডো। মার্কিন গণমাধ্যম এমএসএন জানায়, এমনকি কানাডিয় সরকারের এমন অবস্থানের প্রেক্ষাপটে স্বয়ং ট্রাম্পও বলতে বাধ্য হন, আসলে ট্রুডোর সঙ্গে তার এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। মূলত স্বাগতিক দেশ হিসেবে কানাডিয় প্রধানমন্ত্রীর এমন আচরণকে ট্রাম্প তার নমনীয়তার লক্ষণ বলেই ধরে নেন। এবং বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে নিজের অবস্থানেই অটল থাকেন।

এর ফলে আবারো ট্রাম্পের সঙ্গে জি-৭ নেতাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তৈরি হয় এমন বিভাজন যে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা জি-৭ সম্মেলন আসলে জি-৬ সম্মেলন হিসেবে শেষ হয়েছে বলেই মন্তব্য করেন। বিশেষত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্মেলনের শেষ দিকে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার হুমকি দেন। এবং সম্মেলন শেষ হবার পূর্বেই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জলবায়ু আলোচনায় অংশগ্রহণ না করেই সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

তবে জি-৭ সম্মেলনের শেষে ট্রাম্পের এমন শিষ্টাচার বহির্ভূত ধারাবাহিক আচরণকে উচিৎ জবাব দেন ট্রুডো। ট্রাম্পের বিপরীতে তিনি কানাডার জাতীয় স্বার্থকেই এই বিষয়ে এগিয়ে রাখেন।

সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের ট্রুডো জানান, ‘কানাডার উপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক সম্পূর্ণ অন্যায্য, এই বিষয়টি আমি ইতোমধ্যেই মিঃ ট্রাম্পের কাছে উপস্থাপন করেছি। আর আমরা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কিত এমন যুক্তিও আর শুনতে চাইনা। বিশেষত, যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকেই হাজার হাজার কানাডিয় সেনা আমেরিকান সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিভিন্ন বৈশ্বিক সংঘাতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত তাদের আত্মত্যাগ ও আমাদের জাতীয় মর্যাদার লঙ্ঘন। আমরা ট্রাম্প আরোপিত বাণিজ্য শুল্কের প্রতিটি ডলারের বিপরীতে আমাদের নিজস্ব শুল্ক আরোপ অব্যাহত রাখব।”

এদিকে ট্রূডোর এমন কঠোর অবস্থান ঘোষণার পর তার সমালোচনায় ফেটে পড়েন ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টারা মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স আয়োজিত টক শো'তে এমন ঘোষণাকে ‘পিঠে ছুরি’ মারার সঙ্গে তুলনা করেন। এসময় ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন, যে সমস্ত বিদেশী নেতা ট্রাম্পের সঙ্গে বাজে কূটনীতি করছেন তাদের জন্য জাহান্নামে বিশেষ জায়গা বরাদ্দ করা আছে। সিবিসি/এমএসএন/এনবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়