আসাদুজ্জামান সম্রাট : দেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার প্রায় ৩শ’ কর্মীর সর্বনিম্ম ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন বছরের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে না। বকেয়া বেতনের দাবিতে গত দু’মাস ধরে কাজ বন্ধ করে সংস্থার মিরপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সিড়িতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছেন। যে সময়ে দেশের মানুষ একটি ঈদ উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সে সময়ে বকেয়া বেতন, চাকুরির চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন প্রশিকার কর্মীরা।
তাদের কান্নায় ভারী হচ্ছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পরিবেশ। কিন্তু তারপরেও কর্তৃপক্ষের মন গলছে না। উপরন্তু বৈধ-অবৈধ বিতর্কে যোগ হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনও। প্রায় তিন মাসের এই অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেও তারা ধৈর্য্যহারা হয়ে সহিংস হননি। এখনও ভাঙচুরের মতো ঘটনাতেও জড়াননি তারা।
প্রশিকার ইনফরমেশন ডকুমেন্টেশন রিসোর্স সেলের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর জুয়েনা ইয়াসমিন জানান, তাদের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ৪৩ মাস, এর নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ২৬-২৭ মাস এবং ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ড পর্যায়ের কর্মীদেরও ১২ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সাড়ে তিন বছরের এই অচলাবস্থা চললেও তা সমাধানের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে এসে একটি মানবিক উন্নয়নে নিজেদের সম্পৃক্ত করতেই এসব কর্মীরা প্রশিকায় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এর মালিকানা সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় দেশের শীর্ষ এ বেসরকারি সংস্থা ক্রমেই ধ্বংস হতে যাচ্ছে।
সিড়িতে জুয়েনার মতো আরও অবস্থান নিয়েছেন ফিল্ড অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জাকির হোসেন, আইডিআর এর আব্দুর রহমান, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শায়লা রেজা, এ্যাকাউন্টসের শাপলা রহমানও। প্রতিদিন তারা সকালে অফিসে এসে অফিসের কাজ না করে সিড়িতে অবস্থান নিচ্ছেন। এখানেই কাটিয়ে দিচ্ছেন অফিসের পুরো সময়টি। তারা এ পরিস্থিতির অবসান চান শিগগিরই।
আপনার মতামত লিখুন :