শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০১৮, ০১:৩৬ রাত
আপডেট : ১২ জুন, ২০১৮, ০১:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মধ্যেপ্রাচ্য গৃহকর্মী পাঠানোর আহ্বান

তরিকুল ইসলাম : নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মহিলা গৃহকর্মী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। বাংলাদেশি নারীদের কেন গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে পাঠাতে হবে এমন প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশে ফেরত আসা নারীরা যে নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছেন তা উদ্বেগজনক। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় শুধু বিদেশে কর্মী পাঠানোর উপর জোর দিচ্ছে। যাদের পাঠানো হচ্ছে তাদের বিদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

সোমবার দুপুরে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এবং লেদার-গুডস এন্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকর্চারস অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) যৌথ উদ্যোগে বিদেশ ফেরত নারীদের সহায়তা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা ২২ জন নারীকে জনপ্রতি এক লক্ষ টাকার চেক ও দুটি নতুন শাড়ি প্রদান এবং ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকুরির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশ ফেরত নারীদের আর কতো কান্না আমরা শুনবো। মধ্যপ্রাচ্যে নারীরা শারিরীক, মানসিক এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা যখন নারী কর্মী পাঠানো কমিয়ে দিচ্ছে তখন কেন আমরা গৃহকর্মী পাঠাচ্ছি। মানুষ তো পণ্য নয়। প্রত্যেকটা মানুষের মানবাধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।

বিদেশ ফেরত নারীদের পাশে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে থাকার আহবান জানিয়ে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, দেশের ভেতর যদি শুধু পোষাক খাতেই ৪০ লাখ নারীর কাজ করতে পারে তাহলে কেন বিদেশে গৃহকর্মী পাঠাতে হবে? মানুষের যদি অধিকার নিশ্চিত না হয় তাহলে কোন উন্নয়নে কাজ হবে না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কথা শুনতে হবে। শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেন সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।

এ সময় ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান এর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব নারী বিদেশে কাজ করতে যান অধিকাংশই দরিদ্র। ভাগ্য বদলের আশায় বিদেশে যাওয়া এই নারীদের অনেকেই শূণ্য হাতে ফেরত আসছে। শরীরে তাদের নির্যাতনের ক্ষত। অনেকে বিপর্যস্ত। বিমানবন্দর থেকে তাদের অনেকের বাড়ি যাওয়ার খরচও থাকছে না ব্র্যাক তাদের বাড়ী যাওয়ার খরচের পাশাপাশি সাময়িকভাবে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা, জরুরী স্বাস্থ্যসেবা, মনোসামজিক কাউন্সেলিং প্রদান করছে।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, টেকনোলজি অ্যান্ড পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিট) কে এম মোরশেদ এবং লেদার-গুডস এন্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকর্চারস এন্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) প্রেসিডেন্ট সায়ফুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়