তরিকুল ইসলাম সুমন: আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর পালনে রাজধানীবাসী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। তবে ১৩ তারিখ থেকে এ যাত্রা ফলে পরিণত হবে। এ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্র্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বুড়িগঙ্গা নদী ও সদরঘাটের আশপাশ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযানে ১০০টি অবৈধ স্থাপনা ও দুটি ফলের আড়ত উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাও বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদী বন্দরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আজ সোমবার তিনি বলেন, সদরঘাটসহ সিমসন ঘাট, ওয়াইজ ঘাট (ঢাকা- পটুয়াখালী লঞ্চ ছাড়ার জায়গা) এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানের পাশ্ববর্তী জায়গায় ফলের আড়ত থাকার কারণে এখানে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা ও দুটি গুদাম গড়ে উঠেছিল। এখানের সব মিলিয়ে ৬০ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছ। এ ঘাট এলাকার মূল সড়কের দু’পাশের থেকে ফুটপাতের হকার মুক্ত করা হয়েছে।
সিমসনঘাট এবং ওয়াইজঘাট এলাকা ঘরে পরিষ্কার পরিচ্ছনতা দেখা গেলেও এ দুটি ঘাটের মধ্যবর্তী জায়গায় রয়েছে একটি ডাস্টবিন। যেটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে দক্ষিন সিটি করপোরেশন। এ জায়গা থেকে এ ডাস্টবিনটিও আপসারণ করা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন যাতায়াতকারী যাত্রীরা।
মিজানুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা কেরাণীগঞ্জের তেলঘাট এবং কালিগঞ্জেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানে এসব এলাকার ৪০ টির বেশি অবৈধ স্থাপনা ও বেশ কয়েকটি নৌ তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ’র টাগজাহাজ , ১ টি স্পীডবোট ও দু’টি শক্তিশালী লংবুম এক্সেভেটর কাজ করছে। এ অভিযান চলবে।
উচ্ছেদকৃত জায়গায় যাতে করে পূনরায় স্থাপনা তৈরি করতে না পারে সেজন্যও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক সিসি টিভি মনিটরিং করছে।
আপনার মতামত লিখুন :