শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০১৮, ০২:৫৯ রাত
আপডেট : ১১ জুন, ২০১৮, ০২:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারকে আস্থায় না নেওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নেই : মহিউদ্দিন আহমদ

আশিক রহমান : যতক্ষণ না মিয়ানমারকে আস্থায় না নেওয়া যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নেই বলে মনে করেন গবেষক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ। আমাদেরসময় ডটকম-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক এই সমস্যাটা যদি আন্তর্জাতিকীকরণ করে ফেলা হয়, যেটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকানরা চাচ্ছে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব কেউ নিচ্ছে না। কেন জানি আমার মনে হয়, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মিয়ানমারের অং সান সুচির দৃষ্টিভঙ্গি প্রায় অভিন্ন। দুজনে মিলে সমস্যা সমাধান করে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে যে চুক্তি হয়েছে তা কতটা সফল বা কার্যকারিতা দেখা যাবে তা অনেককিছুর উপর নির্ভর করছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বাংলাদেশ উভয় একই কথা বলছে, নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে শরণার্থীদের জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে মিয়ানমার রাজি বলেও এখন বলছে দেশটি। সুচি তার সর্বশেষ দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটিই বলার চেষ্টা করেছেন। তবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে একটা গেম প্ল্যান থাকতে পারে। শরণার্থীরা যেন মিয়ানমারে ফেরত না যায় সে ধরনের কোনো গেম প্ল্যান রয়েছে বলেই আমার ধারণা। এবং আশঙ্কা।

মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, আমার এই আশঙ্কার কারণ রাখাইন অঞ্চল কৌশলগত কারণে চীনের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেখানে তাদের প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। ফলে দেশটিকে তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। এখানে ভারত এবং চীনের মধ্যে একটা দারুণ ঐক্যমত রয়েছে। দেশ দুটি এই অঞ্চলে আমেরিকাকে কোনোভাবেই ঢুকতে দিতে চায় না। ফলে রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের প্রতি আমেরিকানরা সহানুভূতি দেখাচ্ছে। একইসঙ্গে এই ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে। তবে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখতে পাই, রোহিঙ্গা ইস্যুতে দীর্ঘস্থায়ী একটা সংকটের দিকে যাচ্ছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ট প্রাজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছেন। কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার দরজাটা খোলা রেখেছেন তিনি। এটা যদি তিনি চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে হয়তো একটা ইতিবাচক ফল পেলেও পেতে পারি আমরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়