শিরোনাম

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০১৮, ০৬:১৯ সকাল
আপডেট : ১১ জুন, ২০১৮, ০৬:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে ট্রাম্প-কিম সম্মেলনের আয়োজক সিঙ্গাপুর

ডেস্ক রিপোর্ট : সমৃদ্ধশালী সিঙ্গাপুর রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ একটি দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বেশ দৃঢ়। অন্যদিকে, বিশ্বের অল্প যে কয়েকটি দেশে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস আছে সিঙ্গাপুর তার একটি।

যুক্তরাজ্যের সাবেক উপনিবেশ সিঙ্গাপুর অত্যন্ত সুশৃঙ্খল একটি দেশ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটিতে কঠোর হাতে আইনের বাস্তবায়ন করা হয় এবং সেখানে অকারণ রসিকতার কোনো সুযোগও নেই।

সিঙ্গাপুর পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে ‘চুইং গাম’ নিষিদ্ধ। প্লেবয়’এর মত অ্যাডাল্ট ম্যাগাজিনের প্রবেশাধিকারও সেখানে নেই। যেকারণে দেশটিকে ‘ন্যানি স্টেট’ বলা হয়।

সেখানে অপরাধের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। দেশটিতে লুটপাট ও ভাংচুরের জন্য বেত্রাঘাতের শাস্তি আছে, মাদক পাচারকারীদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সিঙ্গাপুরে জনবিক্ষোভ খুবই বিরল।

সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক ইউজেন তান আল জাজিরাকে বলেন, “নিশ্চিতভাবেই সিঙ্গাপুর অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ একটি দেশ।”

দেশটি যেন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সুইজারল্যান্ড। এ কারণেই এরকম একটি সংবেদনশীল এবং কূটনৈতিক আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া উভয় দেশের কাছে সিঙ্গাপুরকে আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।
“আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়নের কারণে ট্রাম্প ও কিমকে বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে কিংবা সড়কে বিক্ষোভ মোকাবেল করতে হবে না। যে কারণে তারা নিজেদের আলোচনায় অধিক মনযোগ দিতে পারবেন।”

ট্রাম্প-কিম সম্মেলনের খবর সংগ্রহ করতে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় তিন হাজার সাংবাদিক সিঙ্গাপুরে যাবেন।

সিঙ্গাপুরের অভিজাত সাংরি-লা হোটেলে উঠেছেন ট্রাম্প। হোটেলটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারি অস্ত্রসজ্জিত ‘গোর্খা’ সেনাদের আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।

সেই উপনিবেশ আমল থেকেই নেপালের সেনাবাহিনীর সদস্যরা সিঙ্গাপুর পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করে, যারা ‘গোর্খা’ সেনা নামে পরিচিত।

সূত্র : বিডিনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়