শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০১৮, ০৪:৫৭ সকাল
আপডেট : ১১ জুন, ২০১৮, ০৪:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দু-চারটা ক্রসফায়ার দিয়ে মাদক নির্মূল হবে না

লাকী আক্তার : প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বাংলাদেশ পুলিশ, যখন মাদক নির্মূল এর কর্মসূচি হাতে নিলো, তারা অভিযানের ছক প্রণয়ন করলো। শুরু হলো মাদক নির্মূলের ক্রাশ প্রোগ্রাম। ৩০ জুন খিলগাঁওয়ের লেলিন বাবুকে কথিত বন্দুক যুদ্ধে মৃত ঘোষণা করা হলো। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আরো নড়েচড়ে বসলো। শহর, গ্রাম, বস্তি থেকে শুরু করে প্রতিটি গলিতে তল্লাশী শুরু হলো। গ্রেফতার হলো অসংখ্য ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবনকারী। চারদিকে মাদক নির্মূল অভিযান বাহবা পেতে শুরু করলো।

যুবসমাজের একটা বড় পার্সেন্টিজ যখন মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ে, তখন এমন একটা অভিযান খুবই জরুরী ছিল। সমস্যাটা শুরু হলো টেকনাফের ইকরামুল হক হত্যার মধ্য দিয়ে। তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হলো। যদিও এটাকে ক্রসফায়ার বলেই চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দেশ বিচারহীনতার দেশ। একরামুল হক দোষী কিংবা নির্দোষ, আমার তাতে মাথা ব্যথা নেই। একরামুল হককে বিচার বহির্ভূত পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে, এটাই এখন মাথা ঘামানোর মূল বিষয়। একটা স্বাধীন দেশে যেখানে আইন আদালত আছে, সুন্দর বিচার ব্যবস্থা আছে, সেখানে একটা বাহিনী কিংবা সিন্ডিকেটকে সন্ত্রাসী বলে মেরে ফেলার এই ক্ষমতাটা কেন দেওয়া হবে? আদালতের নিয়মকে উপেক্ষা করে যারা বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড পরিচালনা করছে, তারা কি আদালত অবমাননা করছে না? আপনি যখন একজন সন্ত্রাসীকে হাতেনাতে ধরতে পারবেন, তখন তাকে মেরে ফেলার যথেষ্ট কারণ দেখি না।

তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আর যদি তা না করেন, তাহলে এটা অন্তত প্রতিয়মান হয় যে, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আস্থা নেই। কোন আসামীকে কি শাস্তি দেওয়া হবে, তার দায়ভার আদালতের। আদালত যদি একরামুল হককে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মৃত্যদন্ড ঘোষণা করতো, অথবা মুক্তি দিতো, আমি খুশি হতাম। কারণ, এটা আদালতেরই কাজ। যখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুলি করার পারমিশন থাকে, তখন তারা মানুষের লাইন থেকে বের হয়ে যায়। ক্রসফায়ার আর ডেকে নিয়ে হত্যা দুটি আলাদা বিষয়।

বিচারিক কার্যাবলী আদালতের হাতে ছাড়ুন। এতে মানবাধিকারের ছিটেফোটাও নষ্ট হবে না। মানুষ হত্যা কিংবা ক্রসফায়ার করে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। এটা হবে না কখনো। ছোট ছোট বাচ্চা মাছ জালে আটকা পড়ে ডাশন, তবে বড় বড় রাঘব বোয়ালরা বাইরেই থাকে। আমি প্রথম থেকেই ক্রসফায়ারের বিপক্ষে। দেশে ক্রসফায়ার করে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করে আইনের আওতায় এনে বিচার করলে মাদক অনেকটা নির্মূল হবে বলে আমি মনে করি। দু’চারটা ক্রসফায়ার দিয়ে মাদক নির্মূল হবে না।

পরিচিতি : বাংলাদেশ কৃষক সমিতির নির্বাহী সদস্য/  মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়