সাজিয়া আক্তার : মডেল ফামের্সি, যেখানে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেয়া হয় না কোনো ওষুধ। আবার পরামর্শ দেয়া জন্য সার্বক্ষণিক সেখানে উপস্থিত আছে একজন ফার্মাসিস্ট। ছোট-বড় মিলিয়ে দেশে নিবন্ধিত ওষুধের দোকান আছে লক্ষাধিক। যার কোনোটিতেই ওষুধ কিনতে দরকার হয় না ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন। উন্নত দেশ তো বটেই, আফ্রিকার এক ছোট দেশেও এমটা ভাবাও যায় না। ওষুধের এই লাগামহীন বেচাকেনা ঠেকাতে গেল বছর আদর্শ ওষুদের দোকান চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। পরীক্ষামূলক ভাবে অনুমোদিত কয়েকটি দোকানকে রূপ দেওয়া হয় মডেল ফার্মেসিতে। যেখানে বিক্রি হয়না প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ। মানা হয় সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতিও। যা দেখভালে রয়েছেন একজন সার্বক্ষণিক ফার্মাসিস্ট।
সারা দেশেই খোলা হচ্ছে এমন ফার্মাসি, রাজধানীতেই রয়েছে শতাধিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাস্থ্য সেবায় শৃঙ্খলা ফেরাতে এই পদ্ধতি কাজে লাগবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাব্বির হায়দার বলেন, কিছু কিছু ওষুধ আছে যেটা আপনি প্রেসক্রিপশন ছাড়া কিনতে পারেন, কোনো অসুবিধা নেই। আইনগতভাবে সেটা বৈধ। কিন্তু অনেক ওষুধ আছে যেটা প্রেসক্রিপশন ছাড়া কিনতে পারেন না। এর মধ্যে বড় ক্লাস হচ্ছে এন্টিবায়োটিক।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, গ্রাম পর্যায়ে এসব ফার্মেসি চালু করতে ঋণ দেয়ার কথা ভাবছে সরকার।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ফার্মেসিকে দুটি ভাগে ভাগ করেছি, একটা মডেল ফার্মেসি, আরেকটা মডেল মেডিসিন সপ। মডেল ফার্মেসিতে এ গ্রেডের ফার্মাসিস্ট থাকবে এবং এটাতে ইয়ারকন্ডিশনও থাকবে। ২১ টা জেলাকে আমরা ৩৭৬ টি মডেল ফার্মেসি উন্নিত করেছি। বাকি ৪৪টি জেলা ৫৭৫ টা মডেল ফার্মেসি প্রায় রেডি আছে।
তার মধ্যে সারা দেশে মডেল ফার্মেসি চালু হলে দূর হবে ভেজাল মানহীন ওষুধের দৌড়াত্ম।
সূত্র : চ্যানেল ২৪
আপনার মতামত লিখুন :