রাশিদ রিয়াজ : টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১২ ও ২০১৪ সালে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে প্রবল মানসিক চাপ থাকার কারণে ইসরায়েলি পুরুষদের শুক্রাণুর মান কমে যায়। এ গবেষণা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে গত মাসে তেলআবিবে অনুষ্ঠিত ইসরায়েল ফার্টিলিটি এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে। ওই যুদ্ধের সময় ৬৫৯টি নমুনা সংগ্রহ করার পর গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের কারণেই এধরনের ঘটনা ঘটেছে। এসব নমুণায় শুক্রাণুর পরিমাণ ছিল ৩৭ ভাগ যা ধীরগতির। নারীর ডিম্বানুর সঙ্গে এর চেয়ে অধিক শক্তিশালী ও দ্রুতগতির শুক্রাণুর মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয় সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে।
বেন-গুরিয়ন ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব হেলথ সাইন্স ও আইভিএফ ইউনিট এন্ড দি স্পার্ম ব্যাংক এ্যাট সোরোকা ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার’র (বীরসেবা) পরিচালক এলিয়হু লেভিটাস বলেন, মানসিক চাপ ফার্টিলিটি বা সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে উর্বরতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও শুক্রাণুর ওপর তা কি পরিমাণ প্রভাব ফেলে তা নিয়ে কম গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এ গবেষণা দেখাচ্ছে মানসিক চাপ শুক্রাণুর ওপরও প্রভাব সৃষ্টি করে। তিনি আরো বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় যুদ্ধের সাইরেন বেজে ওঠার পর একজন মানুষের মধ্যে তা কি ধরনের দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের সৃষ্টি করে এবং তা তার শুক্রাণুর পরিমাণ কমিয়ে দেয় তা গবেষণায় দেখতে পেয়ে আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও শুক্রাণূও সংখ্যার মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।
এ গবেষণায় সোরোকা ও বেন-গুরিয়ন ইউনিভার্সিটি যেসব ব্যক্তির শুক্রাণু সংগ্রহ করে তাদের গড় বয়স ৩২ বছর। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ ধরনের গবেষণায় ১০ হাজার ৫৩৬টি স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। ২০১৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ৫০ দিনের যুদ্ধ হয়। গত বছর আরেক ইসরায়েলি গবেষণায় দেখা গেছে শুক্রাণুর ঘনত্ব পশ্চিমা দেশগুলোতে গত ৪০ বছরে ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :