রাজু আনোয়ার: জাতীয় যাদুঘরে নবসজ্জিত এই বাদ্যযন্ত্র গ্যালারিটি প্রদর্শনের জন্য দর্শকদের সামনে খুলে দেয়া হলো গতকাল। একতারা, রুদ্রবীণা, সুরবাহার, তবলা, সেতার, এ¯্রাজ, দিলরুবা, মন্দাবাহার, সারেঙ্গী, তারসানাই, বেহালা, সারিন্দা, ভায়োলা, যোগী সারেঙ্গী, পেনা, দফ, সুরমন্ডল, পাখোয়াজ, ডুগডুগি, খঞ্জরী, সেকাস, ঘন্টা, নূপুর, স্বরনাই, কৃষ্ণ কাঠি, ফ্লুট, গিটার, ম্যান্ডলিন, কাঠতরঙ্গ এরকমের চার শ্রেণির ১৩৩টি বাদ্যযন্ত্র দিয়ে জাতীয় জাদুঘরের ২৮নং গ্যালারিটি সুসজ্জিত করেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলয়নায়তনে গতকাল দুপুরে বাদ্যযন্ত্র গ্যালারির উদ্বোধন করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পড়ে ছিল জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে থাকা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, চারবছর আগে আমি যখন জাদুঘরের দায়িত্বে আসি তখন বাদ্যযন্ত্র গ্যালারিসহ ৮টি গ্যালারিই ফাঁকা ছিল। ২৬ এবং ৪৬নং গ্যালারির পর এখন ২৮নং গ্যালারি সাজানোর পর সবগুলো গ্যালারিই পূর্ণ হয়েছে। জাদুঘর একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান, এখানে আসার পরে অনেক অভিজ্ঞতাই অর্জন করেছি; এসব মন্তব্য করে জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আজ আমার শেষ কর্মদিবস। আপনাদের সাথে আমি অনেক উচ্চবাচ্য করেছি সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. শওকত নবী বলেন, জাতীয় জাদুঘরকে ফয়জুল লতিফ চৌধুরী যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সে মান ধরে রাখা এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এধারা অব্যাহত রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জাদুঘরের জাতিতত্ত্ব অলংকরণ ও শিল্পকলা বিভাগের কীপার নূরে নাসরিন, ইতিহাস ও ধ্রুপদী শিল্পকলা বিভাগের কীপার স্বপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :