ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নারীকে পিষে মেরে ফেলার ঘটনায় বাসের চালককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চালকের নাম তরিকুল ইসলাম (২২)।
শাহবাগ থানা-পুলিশ আসামি তরিকুলকে শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তাঁকে আটক রাখার আবেদন করে। আদালত পরে চালক তরিকুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় বাস থেকে নেমে সমিরন আক্তার (৫০) ফুটপাতে ওঠার সময় পেছন থেকে একটি বাস এসে তাঁকে চাপা দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে পারভীন রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
সমিরনকে চাপা দেওয়া খিলগাঁও-মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী মিডলাইন পরিবহন বাসের চালক তরিকুলকে আটক করে পুলিশ। তরিকুল ইসলামের বাড়ি বরিশালের করিমগঞ্জে। পুলিশকে তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।
আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ বলছে, বাস চালককে গ্রেপ্তার করা গেলেও চালকের সহকারী সোহাগ পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সমিরন আক্তার হাইকোর্টের মাজার মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে সূত্রাপুরের বাসা থেকে বাসে করে এসেছিলেন। তাঁর ছোট বোন সালমা জানান, তাঁর বোন সমিরন প্রতি শুক্রবারই হাইকোর্ট মাজার মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেন।
গত ৩ এপ্রিল ঢাকায় দুই বাসের চাপায় কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাজীবের পর বাসচাপায় পা হারান রোজিনা আক্তার। এই দুজনের মৃত্যুর পর নগর পরিবহনের অব্যবস্থাপনার বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। কিন্তু তারপরও হাত-পা হারিয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন রাসেল সরকার, পুলিশ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, রুনি আক্তার ও আয়েশা খাতুন। কিন্তু কোনো প্রতিকার মিলছে না। সর্বশেষ ধড়-মাথা বিচ্ছিন্ন হয়েছে বৃদ্ধা সমিরনের। সূত্র : প্রথম আলো
আপনার মতামত লিখুন :