শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০১৮, ১১:৪১ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুন, ২০১৮, ১১:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিটি সেন্টার, নিউ মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পরা ভীড়

শাকিল আহমেদ: ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বিপনী বিতানগুলোর মতো ঢাকার বাইরের শপিংমলগুলোতেও চলছে শেষ দিকের জমজমাট বেঁচাকেনা। সাভার সিটি সেন্টার ও নিউ মার্কেটসহ সব বিপনি বিতান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পরা ভীড় দেখা গেছে। বেচাঁকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা।

ঈদের বাকি মাত্র কয়েক দিন। তাই গ্রাম কিংবা শহরের সব বিপনি বিতান গুলোতেই চলছে ঈদের উৎসব মুখর বেঁচাকেনা। ঢাকার সবচেয়ে কাছের পৌর শহর সাভার। ঢাকার অতি কাছের হওয়ায় সেখানকার অধিকাংশ মানুষ সবকিছুতে ঢাকা কেন্দ্রীক। কিন্তু ঈদ কেনাকাটার চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সকল শ্রেনী পেশার মানুষই সাভারের থেকে ঈদের কেনাকাটা করছে। কেনাকাটার জন্য কেউ কেউ ঢাকা আসলেও, তার সংখ্যা বেশি নয়।

মানিকগঞ্জ, ঘিওর, ধামরাই, বাইপেল, নবিনগর, আবদুল্লাপুর, আশুলিয়া, হেমায়েতপুর ও আমিন বাজারের বেশির ভাগ ক্রেতাই সাভার থেকে ঈদের কেনাকাটা করেন। কারন হিসাবে সুমন নামে এক ক্রেতা বলেন, আগে যে সব পণ্য বসুন্ধরাসিটি বা ঢাকার নামকরা বিপনিবিতান থেকে কিনতাম, সে সব পণ্য এখন সাভারেই পাওয়া যাচ্ছে। তাই কষ্ট করে আর পরিবার নিয়ে ঢাকা যাবার দরকার হয় না।

সাভারে রয়েছে বেশ কয়েকটি শপিংমল। এরমধ্যে উচ্চ আয় এবং মধ্য আয়ের মানুষকে সাভার সিটি সেন্টার ও নিউমার্কেট থেকে বেশি কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। সিটি সেন্টার ও নিউমাকের্টে কেনাকাটার জন্য ক্রেতাদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র। প্রতি ৫০০ টাকার কেনাকাটা করলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন একটি করে লটারি কুপন। বিজয়ীদের জন্য রয়েছে গাড়ী, মটরসাইকেল, ফ্রিজ, আসবাব পত্রসহ আর্কষনিয় সব পুরস্কার।

এছাড়া স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসা রাজ্জাক প্লাজা, অন্ধ মার্কেট, চৌরঙ্গি সুপার মার্কেট, কোরাইশি মার্কেট, উৎসব প্লাজা ও ভরসা মার্কেট। এছাড়া সুলভ মুল্যে গার্মেন্টস পোশাকের জন্য বিখ্যাত ইউসুফ টাওয়ার, আর এস টাওয়ার ও দিলখুশা মার্কেট। এসব মার্কেটে স্বল্প মুল্যে পছন্দের পোশাক পাওয়া যায়। শুধু স্বল্প আয় নয় অনেক বিত্তবানদেরকেও এখান থেকে ঈদ কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।

সাভার সিটি সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, শপিংমলগুলোতে রয়েছে, ইনফিনিটি ক্যাটস আই, দর্জিবাড়ি, প্লাস পয়েন্ট, গ্রামীন ইউনিকক্লো ও র্স্মাট পয়েন্টসহ নামিদামি ব্রান্ডের শোরুম। ডিসপ্লেতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ছেলেদের চায়না ও ইন্ডিয়ান শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট পাঞ্জাবি ফতুয়া। এছাড়াও রয়েছে মেয়েদের গাউন, থ্রিপিস, স্কার্ট, টপস, লেহেঙ্গাসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন আধুনিক ডিজাইনের পোশাক। নারীদের জন্য রয়েছে দেশি-ইন্ডিয়ান জামদানি, কাতান ও শিল্কের শাড়ি, এবং ছোট বাচ্চাদের গাউন, লং ও সর্ট ফ্রোক, স্কার্ট ও ডিভাইডার সেট।

সাভার সিটি সেন্টারের স্মার্ট পয়েন্টের মালিক মো. রোহান ইসলাম (বাবু) বলেন, সাভার ও মানিকগঞ্জ এলাকার মানুষ কেনাকাটার জন্য আগে ঢাকায় যেত। তবে এখন আর সেটি করছে না। কারন ঢাকার নামিদামি প্রায় সব ব্রান্ডের শোরুমই সাভারে আছে। সাভারে এখন সব ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। এখানের ব্যাবসায়ীরা এখন ইন্ডিয়া ও চায়না থেকে সরাসরি পোশাক নিয়ে আসে। মানুষ এখন ফ্যাশন সচেতন, তারা দামের চেয়েও পোশাকের কোয়ালিটির উপর বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তাই পছন্দের পোশাক বেশি দাম দিয়ে কিনতেও দ্বিধা করেনা। পোশাকের কোয়ালিটি ভালো হওয়ায় অনেকেই সাভার থেকে বেশি কেনাকাটা করছে। তাই একই পোশাক কাষ্টমারদের কষ্ট করে ঢাকা বা ইন্ডিয়া গিয়ে কিনতে হয়না আবার আমাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে।

নিউ মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, শেষ দিকের বেচাঁকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছে দোকানিরা যেন দম ফেলারও সময় নেই। পছন্দের পোশাক কিনতে বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখছে ক্রেতারা। চলছে দর কষাকষি। বাড়াবাড়ি না করে ক্রেতাদের একদাম বলে দিচ্ছে দোকানিরা। ছেলে-মেয়েদের পোশাক, জুতা, পঞ্জাবি ও কসমেটিকস সামগ্রিসহ সব দোকানে ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে।

ইমন ফ্যাশনের মালিক মো.কামাল হোসেন বলেন, আমাদের এ বছর বেচাঁকেনা ভালো। সকালের দিকে মার্কেটে প্রচুর কাষ্টমার আসলেও বিক্রি খুব একটা হয় না। বিকাল থেকে বিক্রি ভালো হয়। এ বছর গাউনের চাহিদাটা বেশি। বাচ্চাদের চেয়ে বড়দের আইটেম এখন বেশি চলে। সব মিলিয়ে বেচাঁকেনা এখন মোটামুটি ভালো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়