শিরোনাম
◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০১৮, ০৯:৪৫ সকাল
আপডেট : ০৯ জুন, ২০১৮, ০৯:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভরা মৌসুমেও মেঘনায় ইলিশের দেখা নেই, হতাশ জেলেরা

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর: মেঘনার উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর রুপালী ইলিশের জেলা হিসেবে বেশ পরিচিতি রয়েছে। এখানকার প্রধান পেশা কৃষি হলেও জেলার বড় আরেকটি জনসংখ্য মৎস্য সম্পদের উপর নির্ভরশীল। সরকারী হিসাব মতে ৬২ হাজার জেলে এই পেশার সাথে জড়িত থাকলেও বেসরকারী হিসেবে লক্ষাধিক মানুষ এই মাছ ধরার সাথে জড়িত রয়েছেন।

প্রতি বছরই একটা নির্দিষ্ট সময়ে এখানকার সকল স্তরের মানুষ মেঘনায় ইলিশের দিকে চেয়ে থাকে। বর্তমানে মেঘনা নদীতে ভরা মৌসুমেও জেলেদের জালে মিলছে না ইলিশ। সারাদিন-রাতে নদীতে জাল ফেলে নদী থেকে প্রায় খালি হাতে অনেক জেলে ফিরে আসছেন। এতে ইলিশ শূণ্য হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের হাটগুলো।

গত বছর এই দিনে যেখানে লক্ষ্মীপুরের ঘাটগুলোতে রাত-দিন ইলিশ বেচাকেনায় ব্যস্ত থাকতো ক্রেতা ও বিক্রেতা, সেখানে এখন শূণ্যতা বিরাজ করছে। জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্য মার্চ-এপ্রিল দু’মাস সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ১ মাসের বেশি সময় পার হলেও জেলেদের জালে মিলছে না ইলিশ। জাটকা নিধনের ফলে মাছের অভাব বলে দাবি করেন জেলেরা।

মজুচৌধুরীর হাট, মতিরহাট, লধুয়াঘাট, মোল্লারহাট ও আলেকজান্ডার এলাকার মাছ ঘাটসহ বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা যায়, ঘাটে তেমন মাছ নেই বললেই চলে। জেলে ও আড়ৎদাররা অলস সময় পার করছেন।

এ সময় জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে অনেক আগে। কিন্তু নদীতে মাছ নেই। সারাদিন নদীতে জাল ফেলে এবং মাছ শিকার করলে দুই/চারটা মাছ পাওয়া যায়। এ দিয়ে ইঞ্চিনচালিত নৌকার তেলের খরচও জোগাড় করা যায় না। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময় দুই মাস ও মে-জুন দুই মাসসহ চার মাস ৪০ কেজি হারে চাল দেয়ার কথা। কিন্তু এসব ঘাটের আশপাশের তেমন কোন জেলেই চাল পায়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নিজেদের স্বজনদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তাদের চাল দেয়া হয়। এসব তালিকার বেশিরভাগই জেলে নয় বিভিন্ন পেশার লোকজন বলে দাবি তাদের।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম মহিব উল্যাহ জানান. জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে জীববৈচিত্রের ওপর ভারসাম্যহীন আঘাতের ফলে মেঘনা নদীর গভীরতা ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ায় ইলিশের প্রজনন প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে নদীতে ভরা মৌসুমে ইলিশ মাছের অকাল দেখা দিয়েছে। জাটকা ইলিশ যেখানে প্রতিপালিত হয় সে ৮/১০টি স্পট আছে সেগুলো দিন দিন ভরাট হয়ে গেছে। ওই স্পটগুলো ড্রেজিং করলে আবার নদীতে ইলিশের দেখা মিলতে পারে এমনটাই মনে করে এই কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়