শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০১৮, ১০:৫৫ দুপুর
আপডেট : ০১ জুন, ২০১৮, ১০:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তিন সিটিতে বড় দু’দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ৩০ জুলাই বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বেশ উত্ফুল্ল ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিন সিটিতেই এখন আলোচনার কেন্দ্রে নির্বাচন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তত্পরতাও শুরু হয়ে গেছে। মনোনয়ন পেতে তারা দৌড়ঝাঁপ ও লবিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে বরিশালে এক ডজনেরও বেশি, সিলেটে ৭ জন ও রাজশাহীতে ৫ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

বরিশাল অফিস থেকে শাহীন হাফিজ জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই বরিশালের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসেছেন। শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতারা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে মেয়র প্রার্থী করতে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশপত্র পাঠিয়েছে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহানগর যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন মেয়র প্রার্থী পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল জানান, তৃণমূল আওয়ামী লীগের দাবির প্রেক্ষিতে মেয়র পদে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপিতেও একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের দিকেই তাকিয়ে আছে নেতারা। কেন্দ্র থেকে যে কেউ মনোনয়ন পেলেও মজিবর রহমান সরোয়ারের ভূমিকা ছাড়া বৈতরণী পার অসম্ভব। তাই মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বর্তমান মেয়র মো. আহসান হাবিব কামাল ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন কেন্দ্রের পাশাপাশি সরোয়ারকেই মনোনয়নের ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এর বাইরে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন মেয়র পদে মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে তাদের কর্মী-সমর্থকরা জানিয়েছেন।

বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তিনি জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী কিন্তু দলের স্বার্থে তিনি যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত রয়েছেন। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে এখানকার জেলা ও মহানগর বিএনপি তাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

বড় দু’দলের বাইরে জাতীয় পার্টি (এ) থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন চাওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন জাপা’র কেন্দ্রীয় নেতা ইকবাল হোসেন তাপস। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহ নাসেরকে, কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আজাদ, বাসদ জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী ও এনপিপি তাদের মহানগর সভাপতি এবিএম মাসুদ করিমকে মেয়র প্রার্থী মনোনীত করেছে।

সর্বশেষ ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী আহসান হাবিব কামাল ৮৩ হাজার ৭৫১ ভোট পেয়ে বরিশালের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শওকত হোসেন হিরন পেয়েছিলেন ৬৬ হাজার ৭৪১ ভোট।

রাজশাহী থেকে স্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তবে সিটি নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলীয় হাইকমান্ড থেকে তাদের জানানো হয়েছে, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পর রাজশাহীসহ তিন সিটি ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। অবশ্য বর্তমান মেয়র বুলবুলকেই দলটি মেয়র প্রার্থী করবে বলে জানা গেছে।

এদিকে তফসিল ঘোষণার রাতেই এক সভায় বসে নিজেদের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছে মহানগর জাতীয় পার্টি (এ)। তিনি হলেন জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ওয়াশিউর রহমান দোলন। মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসাইনকে দলটি মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঠিক করে রেখেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে হাবিবুর রহমান হাবিব আগেই নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে রেখেছেন।

রাসিকের বর্তমান মেয়র ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘এ নির্বাচন কমিশন যেভাবে সরকারের আজ্ঞাবহে পরিণত হয়েছে, তাতে আগামী সিটি নির্বাচনে আমরা অংশ নিব কি না তা নিশ্চিত নয়। কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি আমরা।’ অন্যদিকে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রীর সবুজ সংকেত পেয়ে আমি গত প্রায় ছয় মাস ধরে নির্বাচনের মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’

সিলেট অফিস থেকে হুমায়ূন রশিদ চৌধূরী জানান, বেশ আগে থেকেই বোঝা গেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আওয়ামী লীগের আরো কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। এরা হলেন— মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাহী উদ্দিন আহমদ সেলিম। এছাড়া মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, বদরুজ্জামান সেলিম, জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগর শাখার আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ আরো অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদরুদ্দিন উদ্দিন আহমদ কামরান  বলেন, ‘প্রার্থীর বিষয়টি চূড়ান্ত করবে মনোনয়ন বোর্ড। আমি জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে।’ বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটবাসীর আকাঙ্ক্ষা আমি নির্বাচন করি। তবে খুলনার নির্বাচনের মতো ইঞ্জিনিয়ারিং মেনে নেবে না সিলেটের মানুষ।’ ইত্তেফাক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়