শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০১৮, ০৬:৫১ সকাল
আপডেট : ০১ জুন, ২০১৮, ০৬:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ

ডেস্ক রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। পরিকল্পিত রোডম্যাপই তাদের আগামী নির্বাচনে বড় ধরনের জয়ের স্বাদ দেবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, পরিকল্পিত রোডম্যাপ অনুযায়ীই আমরা এগুচ্ছি। এ পর্যন্ত আমাদের যে অগ্রগতি তাতে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য জনসভা, গণসংযোগ, বর্ধিত সভা, কর্মিসভা ইত্যাদি সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছি। রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচনের আগেই আমাদের সাংগঠনিক কাজগুলো করতে সক্ষম হবো।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েক নেতা জানান, নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ড দুটি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটি হলো পোলিং এজেন্টস প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। যেখানে প্রথমে মাস্টার্স ট্রেইনার্স তৈরি করা হবে, যারা বিভাগে গিয়ে এজেন্ট শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এরপর এজেন্ট প্রশিক্ষকরা জেলায় গিয়ে স্থানীয় এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এভাবে তৃণমূল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ পৌঁছে যাবে। আরেকটি হলো দলের ওয়ার্ড থেকে জেলা-মহানগর পর্যন্ত কমিটিগুলোকে গুছিয়ে আনা। যেখানে কমিটি দেয়ার দরকার সেখানে কমিটি দেয়া হবে, যেখানে বিভাজন মেটানো দরকার সেখানে তাই করা হবে। এ ছাড়া প্রার্থী মনোনয়নের জন্য তৃণমূল থেকে পাঠানো প্যানেলের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করার যে প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে, সেটাকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে আরো জোরদার করা হবে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে দল নির্বাচনমুখী হয়ে উঠছে। এদিকে রোজার পরই দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন শীর্ষ নেতারা। বিশেষ করে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা সফর বাড়িয়ে দেবেন। নিকট অতীতে যাননি এমন জেলাগুলোয় যাবেন তিনি। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তরের পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় জনসভা করবেন তিনি। যাকে এক অর্থে নির্বাচনী সফরও বলা যেতে পারে। এরইমধ্যে তিনি সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম সফর করে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। দলীয় প্রধানের সফরের সমান্তরালে কেন্দ্রীয় নেতারাও সাংগঠনিক সফরে সারা দেশে বর্ধিত সভা-জনসভা-পথসভা চালিয়ে যাবেন। এভাবে চলবে জুলাই পর্যন্ত। অবশ্য এর মধ্যেই ২৩শে জুন আনন্দ-উৎসবের আমেজে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে। আগস্টজুড়ে চলবে শোকের কর্মসূচি। বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পাশাপাশি দলের প্রতিটি সহযোগী সংগঠন শোকসভার আয়োজন করবে। এ ছাড়া ভ্রাতৃপ্রতিম ও সমমনা সংগঠনগুলোর কর্মসূচি তো থাকছেই। আগস্ট শেষ হলেই সেপ্টেম্বর থেকে পুরো দল নামবে প্রকাশ্যে নির্বাচনী কার্যক্রমে। এরইমধ্যে দলের উপদেষ্টা পরিষদ ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নেতৃত্বে ১৫টি টিম সাংগঠনিক সফর শেষ করেছেন। যেসব আসনে দলীয় বিরোধ তুঙ্গে সেসব আসনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এসব সফরে। সাংগঠনিক সফরে প্রথমে ওইসব আসনে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করেছেন সফর টিমের সদস্যরা। তারা যেসব আসনে বিরোধ মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন তা তালিকাভুক্ত করে রাখা হয়েছে। ১৫টি টিম একই পদ্ধতিতে কাজ করেছে। প্রতিটি টিমের পক্ষ থেকে বিরোধপূর্ণ আসনগুলোর তালিকা তৈরি করে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেয়া হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এরইমধ্যে কয়েক দফা রাজনৈতিক মাঠের চিত্র তুলে আনা হয়েছে। ওইসব রিপোর্টের সঙ্গে সাংগঠনিক রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর দলীয় কোন্দল মেটাতে হস্তক্ষেপ করবে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। প্রয়োজন হলে দলের সভাপতি আলাদাভাবে তাদের ডেকে পরামর্শ দেবেন। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে প্রস্তুতি নিতে চায় আওয়ামী লীগ। এদিকে খালেদা জিয়ার কারাগারে আটক থাকার ইস্যুকে আগামী নির্বাচনে পুরোপুরি কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান চুরির দায়ে, এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হবেন- এটা মানুষ কখনই আশা করে না। তার সাজা জনমনে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একই প্রভাব রাজনীতিতেও পড়েছে। নৈতিকতার জায়গা থেকে জিয়া ট্রাস্টের মামলায় সাজা হওয়ায় তারা লজ্জিত। তিনি বলেন, বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ একান্তই রাজনৈতিকভাবে দেখে। আওয়ামী লীগও মনে করে বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলের নেতা এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে কারাবরণ করতে পারে না। এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। রাজনীতির জন্য লজ্জাজনক। সাধারণ মানুষ এই ব্যাপারগুলোকে সেভাবেই দেখে। এসব কারণে সাধারণ মানুষ বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে এনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার জন্য আজ ঐক্যবদ্ধ। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক কিছু ঘটবে না। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই শেষ হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। সূত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়