ডেস্ক রিপোর্ট : জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব এবং আলোচিত মডেল কিম কারদাশিয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ট্রাম্প তার টুইটারে উল্লেখ করেছেন, আলোচনা বিষয়বস্তু ছিল কারাব্যবস্থা সংস্কার ও বিচারব্যবস্থা! তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান লিখেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত একজন নারীর শাস্তি মওকুফের বিষয়ে ট্রাম্পকে অনুরোধ জানাতে গিয়েছিলেন কারদাশিয়ান। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন কিম কারদাশিয়ান।.
গার্ডিয়ান পরিহাসের ছলে লিখেছে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আইনমন্ত্রী জেফ সেশনসের নিন্দা-সমালোচনা ও রোজেন বারের করা বর্ণবাদী মন্তব্যের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলার তৎপরতা থেকে কিছুটা সময় বের করেছেন কিম কারদাশিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য।’ মূলত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অ্যালিস মারি জনসনের সাজা মওকুফ করে দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কারদাশিয়ান। ৬৩ বছর বয়সী জনসনকে আজীবন কারাবাসে দণ্ডিত করা হয়েছে। মাদক সংক্রান্ত অসহিংস অপরাধে এটিই প্রথম এমন কড়া শাস্তি।
কারদাশিয়ানের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘কারদাশিয়ানের সঙ্গে ভালো আলোচনা হলো। আমরা কারাব্যবস্থা সংস্কার ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে আলাপ করেছি।’ সেই সঙ্গে কারদাশিয়ানের সঙ্গে তোলা একটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
জবাবে কারদাশিয়ানও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আজ সময় দেওয়ার জন্য। আমরা প্রত্যাশা করি, প্রেসিডেন্ট মাদক সংক্রান্ত অহিংস অপরাধে আজীবন কারাবাসে দণ্ডিত অ্যালিস মারি জনসনের সাজা মওকুফ করে দেবেন।’
জনসনকে ১৯৯৭ সালে মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে তাকে জেল খাটতে হচ্ছে। শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তিও তার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে রায়ে। জনসনের মেয়ে তার মুক্তি চেয়ে ইন্টারনেটে একটি আবেদন প্রকাশ করেছেন। সেখানে জনসনের মুক্তির সমর্থনে সাক্ষর করেছেন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :