শিরোনাম
◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মুজিবনগর দিবস বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০১ জুন, ২০১৮, ০২:৫৮ রাত
আপডেট : ০১ জুন, ২০১৮, ০২:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মলিন মুখে মিরপুরের মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা

রিকু আমির : নানা কারণে রাস্তাঘাট খোঁড়াখুড়ির জেরে ঢাকার মিরপুরের মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা ঈদ কেন্দ্রীক ব্যবসায়ের স্বাদ বঞ্চিত এখন পর্যন্ত।

বিগত ঈদুল ফিতরের মৌসুমে এমন সময় সেখানকার ব্যবসায় যতটা জমজমাট হয়ে উঠে, রাস্তাখোঁড়াখুঁড়ির কারণে এবার তা এখনও হয়নি বলে জানান শাহ আলী শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী আলামিনসহ কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ী।

শাহ আলী মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাল্টিপ্ল্যান রেড ক্রিসেন্ট সেন্টার, মাজার কো-অপারেটিভ মার্কেট, বেনারসী পল্লী, মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স, নান্নু মার্কেটসহ ছোট-বড় ১২ টিরও বেশি মার্কেট আছে গোটা মিরপুর জুড়ে। এছাড়া তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও বিক্রয়কারী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচুর শো রুমও আছে প্রধান সড়কের পাশ ঘেঁষে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেখা যায়, আগারগাঁও টু মিরপুর ১০ নম্বর রোডের দুপাশে তীব্র যানজট। শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, সেনপাড়া পর্বতা এলাকার প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা। এখানে যানবাহনকে স্থির হয়ে থাকতে হয় অনেকক্ষণ। এই সড়ক জুড়েই চলছে মেট্রোরেলের কাজ। এছাড়া মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর থেকে মিরপুর সেনানিবাস পর্যন্ত সড়কেও মেট্রোরেলের কাজ চলছে। সেখানেও তীব্র যানজট দেখা যায় বৃহস্পতিবার দুপুরে। এ সড়কেই অবস্থিত বেনারসী পল্লী।

এ মার্কেটের ভেতরে অলিগলিতেও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। জলাবদ্ধতা নিরসন, ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন সংস্কারসহ নানা ধরণের কাজ চলছে। ময়লা-আবর্জনার কারণে ক্রেতারা হেঁটেও আসতে পারেন না, অভিজাতরা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও আসতে পারেন না। এ মার্কেটের গুলশান শাড়ি মিউজিয়ামের ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জানান, ঈদ কেনাকাটায় অভিজাত শ্রেণীও এখানে প্রচুর আসেন। কিন্তু এবার এমন কেউ আসতে পারেন না। তাদের ফিক্সড ক্রেতারাও আসতে পারছেন না রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে।

সরেজমিনে জানা যায়, নিউমার্কেট টু মিরপুর সড়কে কোনো খোঁড়াখুঁড়ি না থাকা সত্বেও সন্ধ্যার পর শ্যামলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়ে যায়। এর একটি অন্যতম কারণ আগারগাঁও টু মিরপুর সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি। এ সড়ক ব্যবহার করে যারা মিরপুর যেত তাদের বড় একটি অংশ এখন যায় শ্যামলী-মিরপুর সড়ক দিয়ে। অনেকে আগারগাঁও ৬০ ফিট সড়ক ব্যবহার করেন, এ সড়কের মিরপুরমুখী সর্বশেষ তিন রাস্তার মোড়েও সারাক্ষণ লেগে থাকে ভয়াবহ যানজট। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর থেকে মিরপুর ১ নম্বরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট পর্যন্তও তীব্র যানজট থাকে ওই খোঁড়াখুঁড়ির প্রভাবে।

মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হতাশ সুরে বলেন, আগারগাঁও সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি আমাদের বেশ ক্ষতি করছে। আমাদের চেয়েও বেশি ক্ষতি হচ্ছে মিরপুর ১০, সাড়ে ১১ এলাকার মার্কেটগুলোর। তিনি বলেন, ব্যবসায় তো সারাবছর হয় না। এর মৌসুম বছরে তিনটা বা চারটা। এর মধ্যে প্রধান ঈদুল ফিতর। কিন্তু প্রধান মৌসুমেই এবার হোঁচট খেতে হচ্ছে। ক্রেতাসমাগম এতো কম- বলার বাইরে।

আগারগাঁও ৬০ ফিট সড়কের খুব কাছে মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স। এ মার্কেটের শাড়ি ব্যবসায়ী কাদের বলেন, কাস্টমার তো আসতেই পারে না। ৬০ ফিট, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১০, মিরপুর ১- সবদিকের রাস্তা জুড়েই সারাদিন জ্যাম থাকে। আগারগাঁওয়ের খোঁড়াখুঁড়ি আমাদের এ মার্কেটের ক্রেতা অনেক অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন তো আমরাও চাই। কিন্তু আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিব কীভাবে?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়