শিমুল মাহমুদ : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের কিছু বলার নাই। তবে আমরা আদালতের কাছে সকলের প্রতি সমান আচরণ প্রত্যাশা করি। যদিও আমরা আমাদের নেত্রীর ব্যাপারে সে আচরন পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করতে চেয়েছি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে। আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর এবং বাংলাদেশের মূল্যবোধের ওপর। আমরা এই সরকার উপর আস্থা রাখতে চাই না কারণ আজকেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমি কিন্তু ধরলে ছাড়ি না। আপনি ছাড়া না ছাড়ার কে? তাহলে বিচার বিভাগ কিসের জন্য। আপনার প্রশাসন আপনার কথায় ধরতে পারেন, তবে ছাড়ার ক্ষমতা বিচার বিভাগের। আপনি সেটাও হাতে নিয়ে বসে আছেন। তাহলে এই রাষ্ট্র তো আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থাকল না। আপনার নিজের কথাই প্রমাণ করছেন দেশটাকে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১মে) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার তেজগাঁও থানা ও শিল্পঞ্চল থানা বিএনপি কতৃক আয়োজিত বস্ত্র বিতরনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল বলেন, আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য যে, দেশটা আজ এমন ভাবে চলছে যেখানে কোন নীতি-আদর্শের বালাই নাই। খুব বিখ্যাত সন্ত্রাসী, নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কিন্তু যেহেতু ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিল সেহেতু তিনি শুধু মুক্তি পাবেন। তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, আর বেগম খালেদা জিয়া যিনি জনগণের কল্যাণের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন তার সন্তান মৃত্যুর পথে পতিত হয়েছেন। যিনি এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ। ২৩টি আসন থেকে নির্বাচিত তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তার জামিনের আবেদন শুনানি আজ না কাল নয় পরশুদিন করে তাকে যত বেশি দিন কারাগারে রাখা যায় সেই চেষ্টা চলছে। জেলখানায় রেখে তাঁকে আরও বেশি অসুস্থ করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য হলো তিনি যেন অসুস্থ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন নিতে না পারেন। কিংবা খোদা না করুক আরও বেশি বড় ক্ষতি হলে তাহলেই সরকার আরো বেশি খুশি হয়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্য আমাদের সরকার তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে আমাদের দেশের বিচার বিভাগ। এরচেয়ে বড় দুঃখের বিষয় আর নাই। আমরা পত্রিকায় দেখলাম সুপ্রিম কোর্টের কোন এক বিভাগ থেকে জামিনের নকল কাগজ দিয়েই ইয়াবার আসামিরা মুক্ত হয়ে যায়। আর বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন দিনের পর দিন তারিখ হয় আর শুনানি হয় ।
আপনার মতামত লিখুন :