সোহেল রহমান: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনগণের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে এজেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার পরিধি বাড়ানো এবং ব্যাংক একীভূত বা অধিগ্রহণে একটি যুগোপযোগী পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খুব অল্প সময়ে দেশে ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ব্যাংকগুলোর কর্ম পরিধি, সক্ষমতা, ব্যাংকিং সেবার মান ও অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতি ইত্যাদি বিবেচনায় ভবিষ্যতে ব্যাংক একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে এ বিষয়ে একটি ধারা থাকলেও তা বিস্তারিত নয়। এ প্রেক্ষিতে ব্যাংক একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি যুগোপযোগী পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন বা নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্যদিকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনগণের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং আর্থিক অন্তর্ভূক্তি বাড়ানোর জন্য ব্যাংকের জনবল ও অবকাঠামোগত ব্যয় না বাড়িয়ে এজেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার পরিধি বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বেসরকারি খাতে শেয়ার ছেড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ-সংক্রান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব তৈরির কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মিলে এ প্রস্তাব প্রণয়ন করবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত নব্বইয়ের দশকে গঠিত ব্যাংক কমিশনের সুপারিশ মতে,রাষ্টায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বর্তমানে শুধুমাত্র নামেই ‘লিমিটেড কোম্পানি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এগুলো এখনও শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন রয়ে গেছে। ব্যাংকিং খাতের বর্তমান প্রসারের প্রেক্ষাপটে এ খাতে সরকারের অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা উচিত। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শেয়ার বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে প্রকৃত অর্থে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :