মুহাম্মদ নাঈম: ভোক্তাদের ন্যায্য দামের মধ্যে জিনিসপত্র দিতে হলে গ্রামীণ সমবায়, জেলা ও উপজেলার মধ্যে কৃষক সমবায় সমিতি করা উচিত। এতে কৃষক যারা আছেন তারা তাদের উৎপাদন মূল্য পাবে এবং ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে দ্রব্য ক্রয় করতে পারবে। কৃষক সমবায় সমিতির মাধ্যমে মূল্য নির্ধরণ করা না হলে দ্রব্যমূল্য কমানো সম্ভব নয়। খুচরা বাজার ও সুপার শপের পণ্যের দামের পার্থক্য নিয়ে আলাপকালে কলামিস্ট ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমাতুল্লাহ আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদেশে সকল শহরের বাজারে কৃষক সমবায় ভিক্তিতে বিক্রয় হয়। সমবায় ভিত্তিতে বিক্রয় হলে সবার জন্য ভাল হবে। কৃষকরা পাইকারি বিক্রয় করবে এবং বাজারে আসার পরে কৃষক সমবায় সমিতির মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। বর্তমান বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কিছু সিন্ডিকেট। কৃষক থেকে যে দ্রব্যটা ক্রয় করে আনে সেটাও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়। যারা সিন্ডিকেট করে তারা কিনে এনে খুচরা বাজারে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে সেই দ্রব্যটা বিক্রয় করে থাকে। তিনি আরো বলেন, যারা পাইকারি ক্রয় করে তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃষকদের থেকে দ্রব্যটা ক্রয় করে নিয়ে আসে। এই দুই হাতের বদলটা হল খুব মারাত্মক। মাঝখানের বদলটা তেমন গুরুত্ব নয়। মাঝখানের বদলটার কারণে বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ করছে রাজনীতির দলগুলোর লোকেরা। যখন যারা ক্ষমতায় আসে তখন তারা বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ করে। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এর বাইরে কেউ কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ করছে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেউ যদি বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ না করে, তাহলে বিক্রেতার জন্য লাভজনক এবং ক্রেতার জন্যও ভাল।
আপনার মতামত লিখুন :