শিরোনাম
◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৮, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ৩১ মে, ২০১৮, ০৪:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনকে আফিম মুক্ত করা গেলে বাংলাদেশকে কেন ইয়াবামুক্ত করা যাবে না?

আনিস আলমগীর : আফিমের কবল থেকে চীনাকে যদি মুক্ত করা যায়, বাঙালি জাতিকে কেন ইয়াবা থেকে মুক্ত করা যাবে না। ফিলিপাইন ছিল মদের রাজ্য, এখন নাকি বাংলাদেশও ফিলিপাইনকে হার মানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী র‌্যাবকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । র‌্যাব কঠোর যতটুকু হওয়ার ততটুকু হয়েছে। কিন্তু অভিযান নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। গত ১৫ মে থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান এই অভিযানের মধ্যে প্রতিদিন কেউ না কেউ কথিত ক্রসফায়ারের শিকার হচ্ছেন। সংখ্যায় সেটা নগণ্যও নয়। একদিকে সাধারণ মানুষ একে স্বাগত জানাচ্ছে, অন্যদিকে বিচার ছাড়া এ ধরনের হত্যার নিন্দা করছে দেশের সুধী সমাজ। অবশ্য, সুধী সমাজ টকশো আর পত্রিকার কলামে যে ভাষায় এই অভিযানের নিন্দা করছেন, মনে হচ্ছে তার চেয়ে বেশি আক্ষেপ তাদের, ইয়াবার গডফাদার বদিকে কেন ক্রসফায়ারে দেওয়া হচ্ছে না!

সুশীল সমাজের ভাষ্য, বদিকে না ধরে যদি কয়েক হাজার ছোট মাদক ব্যবসায়ীকেও ক্রসফায়ারে ‘হত্যা’ করা হয় তাতে মানুষ খুশি হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের যে ‘জিরো টলারেন্স’-এর কথা বলা হচ্ছে, বদিকে ছাড় দিলে মানুষ তা বিশ্বাস করবে না। যারা মানবতার কথা বলে ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে বলছেন, তাদের কাউকে আমি দেখিনি বিনা বিচারে টেকনাফে সরকার দলীয় এমপি বদিকেও যাতে হত্যা না করা হোক– এ কথা বলতে। সরকার দলীয় যুবলীগের টেকনাফের এক নেতাকেও এর মধ্যে ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আবার আরেক বিতর্ক চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরকারি সমর্থকরা তাকে নির্দোষ দাবি করে এই ঘটনায় ‘ক্রসফায়ার’ কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মত দিচ্ছে।

দেশ যখন জঙ্গি সন্ত্রাসে নিমজ্জিত হয়েছিল তখনও মানবতাবাদীদের কথা আমরা শুনেছি। তাদের কথা শুনে সন্ত্রাসীদের যদি তল্লাশি করে বিচারের আওতায় আনা হতো তবে সন্ত্রাস বন্ধ হতো না। মনে রাখতে হবে নেশা ছড়িয়ে গেছে তরুণ-যুব সমাজের মাঝে। একটি জাতির যুবক বয়সের ছেলেরা নেশাগ্রস্ত হয়ে বুঁদ হয়ে থাকলে জাতিটাকে নির্মম পরিণতি মোকাবিলা করতে হবে। যুবক বয়সের ছেলেরা জাতির আশা ভরসার স্থল আর তারাই যদি নেশার ছোবলে ধ্বংস হয়ে যায় তবে জাতি দাঁড়াবে কাদের ওপর ভিত্তি করে। পত্রিকায় দেখেছি, একটি ছেলে তার পরিবারকে বলছে, হয় ইয়াবা দাও না হয় দেয়ালের সঙ্গে মাথা দিয়ে আঘাত করে এখনই মরে যাবো। কী ভয়াবহ অবস্থা।  এমন পরিস্থিতিতে মিষ্টি মিষ্টি করে মানবতার কথা, আইনের কথা বলে যারা জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় তারা আসলে জাতির করুণ পরিণতির কথা আমলে নিচ্ছেন না।

পরিচিতি : লেখক ও সিনিয়র সাংবাদিক /মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়