মো. কাইয়ূম সরকার : বিসিএসে যে নিয়োগ হয়, তা লক্ষ লক্ষ বেকারের স্বপ্নের চাকুরি। নিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতছানি এ রকম একটি চাকুরীতে হাতেগোনা কিছু পদের বিপরীতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন দেখতে পায়, ত্রিশ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা তখন তাদের প্রতি একটি বৈষম্য ভাবার অধিকার তাদের আছে। আর সেখানে বড় একটি অংশ যখন মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে ব্যস্ত থাকে, তাহলে তো কথাই নেই।
এখানে কিছু ভুল বুঝাবুঝির ব্যাপার লক্ষণীয় তা হলো, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অমেধাবী। শিক্ষার্থীদের এটুকু জানা উচিৎ যে, দেড় দু লাখ পরিক্ষার্থীর মধ্য যারা প্রিলিমিনারী, লিখিত পরিক্ষায় পাশ করে, মৌখিক পরিক্ষায় পাশ নম্বর পাবার পরে তাদেরকে কোটায় বিবেচনা করা হয়। সুতরাং তাদেরকে অমেধাবী বলার দৃষ্টতা দেখানো অস্বাভাবিক। ৩৩,৩৫ ও ৩৬ তম বিসিএসে মেধা তালিকা হতে যে নিয়োগ হয়েছে তার শতকরা হিসাব যদি শিক্ষার্থীরা জানতো তাহলে এ আন্দোলন এ পর্যন্ত আসার কথা নয়।
উপরোক্ত নিয়োগে যথাক্রমে ৭৭.৪%, ৬২৩.৬৯% ও ৭০.৩৮% নিয়োগ পেয়েছে মেধা কোটায়! অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য কোটা সংস্কার দরকার, সেজন্য একটি প্রক্রিয়া আছে। আছে সময়ের প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা সময় না দিয়ে দেশকে কার্যত অচল করে দিয়ে যে ফলাফল চাচ্ছে তাতে আগামী এক-দুই দশক পর নিজেদেরকেই আফসোস করতে হবে। বড় পরিসরে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়া হলো আমাদের আগামীকে।
পরিচিতি: প্রকৌশলী/ মতামত গ্রহণ: মেহেদী হাসান/ সম্পাদনা: জাফরুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :