শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৮, ০৩:৪৫ রাত
আপডেট : ৩১ মে, ২০১৮, ০৩:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটি লোক নেশায় আসক্ত হবে

গাজি রাজিব রহমান : মাদক শব্দটি ৩ বছরের শিশু থেকে ৯৩ বছরের বুড়ো পর্যন্ত সবার কাছে অতি পরিচিত। মাদকের করাল গ্রাসে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে আমাদের যুবসমাজ। মাদক বলতে আমরা আসলে কি বুঝি? কেন যুব সমাজ আসক্ত এই ভয়াবহ নেশার প্রতি? মাদক কে কি নির্মূল করা সম্ভব? এসব নিয়েই মূলত আমার এই ছোট প্রয়াস। শাব্দিক অর্থে মাদক বলতে ড্রাগ, হেরোয়িন, প্যাথেডিন, আফিম এবং ইয়াবা সেবনকে বুঝানো হয়। এর মূল কাজ সেবনকারীকে অচেতন করে দেয়া অথবা তাকে অনুভূতিহীন করে দেয়া। নিজেকে অচেতন করার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পান মাদক সেবীরা।

এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে তারা ধাবিত হচ্ছে এই অন্ধকার দুনিয়ায়। খুব সহজে অচেতন মনেই ধাবিত হয় মাদকের দুনিয়ায়, নিজেরা বুঝতেও পারে না কি করছে সে! যেভাবে তারা প্রভাবিত হয়: ১। সহজ আনন্দ লাভের বাসনায় ২। নতুন অভিজ্ঞতা লাভের প্রয়াস ৩। পারিবারিক পরিমন্ডলে মাদকের প্রভাব ৪। কৈশোর ও যৌবনের বেপরোয়া মনোভাব ৫। মনস্তাত্ত্বিক বিশৃঙ্খলা।  ৬। কুসংসর্গে পড়া। ইত্যাদি কারণেই ধাবিত হয় এই অন্ধকার জগতে। এর শুরুটা সিগারেট দিয়ে শুরু হলেও শেষটা হয় প্যাথোডিন, আফিম কিংবা হেরোইন এর মাধ্যমে। কেউবা হয়তো নিজেকে সিগারেটের মধ্যেই গুটিয়ে রাখতে পারে, তবে অধিকাংশই পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২০ সালের মধ্যে দেশে ১ কোটি লোক নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মাদকের আগ্রাসন ঠেকাতে না পারলে মাত্র দু-তিন বছরের মধ্যে প্রতি বছর শুধু নেশার পেছনেই খরচ হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। কে দিবে এই টাকা? নিশ্চয়ই কোনো অবৈধ উপায়ে অর্জিত হবে এই টাকা। তাই এটাও বলা বাহুল্য যে, মাদকের সাথে পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে ক্রাইম এর। যখন মাদক সেবী পরিবারের কাছ থেকে মাদক সেবনের অর্থ পেতে ব্যর্থ হয়, তখন খুঁজে নেয় বিভিন্ন অসৎ উপায়, যেমন চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি কিংবা কেউ বনে যায় প্রফেশনাল কিলারে। যার ভার নিতে হয় আপনাকে, আমাকে তথা টোটাল সোসাইটিকে।

আর এই কারণেই আমি মাদক কে ভিক্টিম লেস ক্রাইম বলি না। আপাত দৃষ্টিতে মাদক সেবন কে ভিক্টিম লেস ক্রাইম মনে হলেও, ইন লং রান এটার প্রভাব পড়ে পরিবার তথা সমাজের উপর। একটি পরিবারকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয় এই মাদক, একটা সোসাল সেটিংসে কে ভেংগে দেয় এই মাদক। তাই পরোক্ষ দৃষ্টিতে তাকালে বুঝা যায়, মাদক শুধু মাদক সেবন কারীকেই নিঃশেষ করে দেয় না, পরিবার, সমাজ তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নের পথে এক মহা অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

পরিচিতি :ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় / মতামত গ্রহণ : মো. এনামুল হক এনা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়