শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৮, ১১:১২ দুপুর
আপডেট : ৩১ মে, ২০১৮, ১১:১২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গরমের বছরে পরীক্ষার ফল হয় খারাপ

ডেস্ক রিপোর্ট: যে বছর বেশি গরম পড়ে, সে বছর ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পরীক্ষায় তুলনামূলক খারাপ ফল করে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ডসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক বড় ধরনের গবেষণা শেষে এই উপসংহারে পৌঁছেছেন। তাঁরা বলেছেন, উচ্চ তাপমাত্রা এবং স্কুলের খারাপ ফলের মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের প্রায় এক কোটি ছাত্র-ছাত্রীর ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয় এই গবেষণার জন্য। গবেষণার পর ছাত্র-ছাত্রীদের গরমের সময় স্বস্তি দেওয়ার জন্য আরো বেশি করে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহারের সুপারিশ করা হচ্ছে।

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমের সময় যেসব ছাত্র-ছাত্রীকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, তারা বরাবরই অভিযোগ করেছে যে এ রকম আবহাওয়ায় তাদের পরীক্ষা দিতে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু হার্ভার্ড, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) এবং জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণায় এই প্রথম এ ধারণার পক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ খুঁজে পাওয়া গেল। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তাপমাত্রা যত বাড়ে স্কুলগুলোর পরীক্ষার ফল তত খারাপ হয়।

২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আবহাওয়া অঞ্চলের মাধ্যমিক স্কুলগুলোর পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা করেন গবেষকরা। দেশটির ‘ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ’ এই গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে। গবেষণায় দেখা যায়, যে বছরগুলোতে বেশি গরম পড়েছে, সে বছরগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় খারাপ গ্রেড পেয়েছে। আবার যে বছরগুলোতে তুলনামূলক কম গরম পড়েছে সে বছর বছরগুলোতে পরীক্ষা গ্রেড ছিল ভালো।

গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের জলবায়ু অঞ্চলেই চালানো হয়। উত্তরাঞ্চলের শীতপ্রধান রাজ্যগুলো থেকে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলের উষ্ণ জলবায়ুর রাজ্যগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। গবেষকরা দাবি করেছেন, যখন বেশি গরম পড়ে, তখন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করতে, ক্লাসে মনোযোগ দিতে এবং স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে হোমওয়ার্ক করতে অসুবিধা হয়। তাপমাত্রা যদি দশমিক ৫৫ শতাংশও বাড়ে, তাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের শেখার হার কমে যায় ১ শতাংশ। তাপমাত্রা যখন ২১ শতাংশের ওপরে ওঠে, তখনই এই পরিবর্তনটা ধরা পড়ে। তবে যখন তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়, তখন সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব পড়ে পড়াশোনার ওপর।

গবেষণায় বলা হচ্ছে, মূলত স্বল্প আয়ের এবং জাতিগত সংখ্যালঘু পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাতেই গরমের কারণে বেশি ব্যাঘাত ঘটে। দরিদ্ররা এয়ারকন্ডিশনিংয়ের সুবিধা ততটা পায় না বলেই হয়তো এটা ঘটছে।

হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক জশুয়া গুডম্যান বলেন, পরীক্ষার ফলে উল্লেখযোগ্য অবনতির জন্য দায়ী হচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধি। কারণ এর ফলে পাঠদান ও হোমওয়ার্কে বিঘ্ন ঘটছে। এ রকম আবহাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা মনোযোগ দিতে পারে না, তাদের মন বিক্ষিপ্ত থাকে।

এই গবেষণার ফল থেকে এখন গবেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং বিশ্বের উষ্ণায়নের কি প্রভাব পড়বে পড়াশোনা ও পরীক্ষার ফলের ওপর। সূত্র : বিবিসি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়