শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৮, ০৮:৩৯ সকাল
আপডেট : ৩১ মে, ২০১৮, ০৮:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদযাত্রায় সড়কপথে আস্থা নেই যাত্রীদের

তারেক : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রচণ্ড যানজটের কারণে সড়কপথে আস্থা হারিয়েছেন যাত্রীরা। ভোগান্তি কমাতে রমজানে ও ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীরা ঝুঁকে পড়ছেন রেলের উপর। এতে চলতি মাসে রেলের যাত্রী বৃদ্ধির পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত আয়ও বেড়েছে। যাত্রী বৃদ্ধির কারণে ট্রেনগুলোতে আগেভাগেই অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সড়কের চাপ রেলওয়েতে পড়ায় বেশ কিছুদিন ধরে রেলে যাত্রী বাড়ছে। অতিরিক্ত যাত্রী আসতে থাকায় ট্রেনে স্ট্যান্ডার্ড কম্পোজিশনের বেশি কোচ সংযোজনের পাশাপাশি যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী টিকিট দেয়া হয়েছে। সড়কপথে জটিলতা থাকলেও যাত্রীরা রেলপথে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারায় এমনটা হচ্ছে।

রেলওয়ের এক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে রেলওয়ে ৪৩ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করে ৫৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা আয় করেছিলে। আর এই বছরের একই মাসে রেলওয়ে যাত্রী পরিবহন করেছে ৫৪ লাখ ৮৯ হাজার যাত্রী। এতে আয় হয়েছে ৭০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ কোটি টাকা বেশি। পাশাপাশি ওই সময়ের চেয়ে যাত্রীও বেড়েছে ১১ লাখ ৫৯ হাজার। দেশের সড়ক-মহাসড়কের নাজুক পরিস্থিতিতে চলতি মে মাসেও যাত্রী ও আয় আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন রেলের কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে রেল যোগাযোগে চট্টগ্রাম স্টেশনটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। টিকিট বিক্রিতেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয়ও হয় এ স্টেশনে। গত দুই মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের কারণে এখান থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক টিকিট বিক্রি হয়েছে। এই মুহূর্তে মহাসড়কের যানজট কমে এলেও রমজান মাস হওয়ায় ও ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীরা এখন ট্রেনের দিকে ঝুঁকছেন।

চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে নিয়মিত ঢাকা যাতায়াতকারী শুভাশীষ ভট্টাচার্য বলছিলেন, গত দুই মাস ধরে যানজট ও ভাঙাচোরা সড়কের কারণে সড়কপথে আস্থা হারিয়েছেন তিনি। এ কারণে নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত করেন। গতকালও রেলস্টেশনে এসেছেন রাতের ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার একটি টিকিট সংগ্রহ করতে। যেকোনো উপায়ে একটি তূর্ণা এক্সপ্রেসের টিকিট অথবা স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করবেন তিনি।

রেলওয়ের স্টেশন সংশ্লিষ্ট কমকর্তারা বলছেন, রোজার শুরুতে স্বাভাবিকভাবে দূরপাল্লার যাত্রীদের যাতায়াত কমে যায়। কিন্তু চলতি বছর রোজার আগ থেকেই অস্বাভাবিক যাত্রীর চাপ সামলাতে হচ্ছে রেলওয়েকে। দেশের প্রতিটি স্টেশন থেকে উপচেপড়া যাত্রীর চাপ সামলাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করতে হচ্ছে।ইত্তেফাক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়