নূর মাজিদ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বানিজ্যে একই সঙ্গে দুই ফ্রন্টে লড়াই শুরু করতে চাইছে? বিশেষজ্ঞদের অভিমত এমনটাই ঘটতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র তার বৈদেশিক বাণিজ্যের বড় দুই সহযোগী চীন এবং ইইউ থেকে আমদানি পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ অব্যাহত রাখে।
বিশেষত যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ইউরোপিয়ান মিত্ররাও ইতোমধ্যেই এমন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন প্রশাসন জাতীয় স্বার্থের অজুহাতে ইতোমধ্যেই চীন, জাপান এবং ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে আমদানিকৃত ষ্টীল এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর বাড়তি মুল্য শুল্ক আরোপ করেছে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬.৪ বিলিয়ন ইউরো সমমুল্যের এই সমস্ত পণ্য রপ্তানি করে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার পর নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা একে বাণিজ্য যুদ্ধ ঘোষণার সামিল বলে উল্লেখ করেছে। ইতোমধ্যেই এমন পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশ কিছু আমদানি পন্যে ২৫ শতাংশ বাড়তি করারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। একইভাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবার পর দেশদুটির মাঝে বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে আলোচনা শুরু হয়েছে।
একই সময় ইউরোপিয় মিত্রদের সঙ্গেও আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র। আসন্ন প্যারিস আলোচনায় বৈদেশিক বাণিজ্যের উত্তেজনা কমাতেই চেষ্টা করবে উভয়পক্ষ। তবে ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের মনে ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপারে গভীর সন্দেহ রয়েছে। প্যারিস আলোচনার পূর্বেই ইইউ বাণিজ্য বিষয়ক কমিশনার সিসিলা ম্যালমস্ট্রর্ম ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা উইলবার রস এবং রবার্ট লিটথিজার এর সঙ্গে বুধবার এক বৈঠকে মিলিত হন। কিন্তু আলোচনা শেষে উভয়পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে প্যারিস আলোচনায় বাণিজ্যিক উত্তেজনা কমানো যাবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম।
বৈঠক শেষে ইইউ ট্রেড কমিশনার ম্যালমস্ট্রর্ম জানান, ‘ইউরোপের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অজ¯্র অভিযোগ রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বেকার ম্যাককেঞ্জি’র বাণিজ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রস ডেন্টন বলেন, ‘আসলেই কি ঘটতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে ভবিষৎ বাণী দেয়া খুবই কঠিন কারণ ইইউ ষ্টীল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে শুল্ক বাঁধার অপসারণ চায় এবং যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে এমনটি করতে নারাজ।’
এদিকে বুধবারের আলোচনায় প্রেক্ষাপটে ইউরোপে মার্কিন বাণিজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ট্রাম্প প্রশাসনকে যেকোন সিদ্ধান্ত নেবার পূর্বে ট্রাম্প প্রশাসনকে আরো সংযত হবার আহŸান জানিয়েছে। সিএনএন মানি
আপনার মতামত লিখুন :