লিমা: জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী দপ্তরের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার এই প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রস্তাব দিলেন। দুর্নীতির তদন্তের জেরে আশ্রয়প্রার্থীদের তদন্তের প্রক্রিয়া আরও শ্লথ হয়ে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটিতে ৫ ঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়৷ সেখানে সেহোফার সরকারের পক্ষ থেকে এই দুর্নীতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি কমিটিকে বলেন, জার্মানিতে আশ্রয় প্রার্থনার আবেদনের প্রক্রিয়ায় তিনি সংস্কার চান। অভিবাসন ও শরণার্থী দপ্তরেই মূলত দুর্নীতি হয়েছে। জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, দপ্তরের ১৮ হাজার আবেদন ফের খতিয়ে দেখা হবে। এখান থেকে অবৈধভাবে হাজার খানেক আবেদনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
শরণার্থী, হিউম্যানিটারিয়ান ও সাবসিডিয়ারি-এই তিন ক্যাটাগরিতে আশ্রয় দেয়া হয়ে থাকে। যাঁরা শরণার্থী স্ট্যাটাসের যোগ্য নন, কিন্তু দেশে ফিরে গেলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ার ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের সাবসিডিয়ারি সুরক্ষা দেয়া হয়। আর অসুস্থতা ও অভিভাবকহীন শিশুদের মানবিক (হিউম্যানিটারিয়ান) বিবেচনায় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
২০১৫ সাল থেকে জার্মানিতে অভিবাসন বিতর্কের কেন্দ্রে। সেই বছর চ্যান্সেলর এঙ্গেলা ম্যার্কেল শরণার্থীদের জন্য জার্মানির দরজা খুলে দেন। সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব মানুষ নিজেদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে, তাদের জন্যই এই নীতি নেন ম্যার্কেল। কিন্তু, ম্যার্কেলের এই নীতির বিরোধিতা হয়েছে। সেহোফার নিজেই এই নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছিলেন, জার্মানি ও ইউরোপে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে হবে। ২০১৫ সালের পর থেকে শরণার্থী সঙ্কট ক্রমশ বাড়তে থাকায় ৯ লক্ষ আশ্রয়প্রার্থী বেআইনিভাবে জার্মানিতে প্রবেশ করেছে। ডয়েচে ভেলে।
আপনার মতামত লিখুন :