রবিন আকরাম : মাদকবিরোধী অভিযানে হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাপ্তাহিত পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তুজা।
তিনি সাপ্তাহিকে লিখেছেন- মাদকবিরোধী অভিযানে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা প্রায় সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেছে। যারা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই মাঠপর্যায়ের ‘মাদক চোরাচালানি’- বিক্রেতা বা মাদকাসক্ত। প্রশ্ন উঠেছে ‘চুনোপুঁটিদের’ হত্যা করা হচ্ছে, ‘রাঘব বোয়ালরা’ অক্ষত থাকছে। এই প্রশ্নের উত্তরই সম্ভবত ‘বদির বেয়াই’র রেহাই না পাওয়া। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টেকনাফের কাউন্সিলর নিহত হওয়া। তর্কের স্বার্থে ধরে নিই সাংসদ বদির বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ প্রমাণ হলো। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য অনুযায়ী বদির পরিণতিও কি তার ‘বেয়াই’র মতো হবে?
তখন কি মাদকবিরোধী অভিযানের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘গুলিবিদ্ধ লাশ’ পাওয়াটা বৈধতা পেয়ে যাবে? যারা বলছেন, ‘রাঘব বোয়ালদের’ ধরা হচ্ছে না, তারা খুশি হয়ে হাততালি দেবেন? চুনোপুঁটিদের মারা হচ্ছে, রাঘব বোয়ালদের মারা হচ্ছে না, এ কথা দিয়ে তেমনটাই বোঝায়।
পরিষ্কার করে বলে রাখা দরকার, এমন দৃষ্টিভঙ্গি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তদন্ত-প্রমাণ-বিচার ছাড়া চুনোপুঁটি বা রাঘব বোয়াল কাউকেই হত্যা করা যাবে না। সংবিধান বা দেশের আইন, কাউকে এই ক্ষমতা দেয়নি। গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের গল্প সত্যি ধরে নিয়েও বলতে হবে, রাষ্ট্র দুই দল চোরাচালানির পরস্পর ঘটানো হত্যাকা- সমর্থন করতে পারে না। চোরাচালানিদের ঘটানো হত্যাকাণ্ডের (গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার গল্প অনুযায়ী) কৃতিত্ব ‘বদির বেয়াই ছাড় পায়নি, প্রমাণ হলে বদিও রেহাই পাবে না’- সরকার বা সরকারের দায়িত্বশীল কোনো মন্ত্রী বা অন্য কেউ এমন বক্তব্য রাখতে পারেন না। এমন বক্তব্যের অর্থ বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দেয়া।
আপনার মতামত লিখুন :