সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম শহরে পাগলা কুকুরের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পথচারীদের বিনা উস্কানীতে কামড়াচ্ছে পাগলা কুকুর। রেহাই পাচ্ছে না শিশু থেকে বৃদ্ধরা।
বুধবার (৩০ মে) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে অর্ধশতাধিক মানুষ কুকুরের কামড়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। এসময় রোগীর চাপে জরুরী বিভাগে বেসামাল অবস্থা বিরাজ করছে। এই হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক সাংবাদিকদের আশ্বাস্থ করে জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভেকসিন মজুদ আছে। কোন সমস্যা হবে না।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আনোয়ারুল (৩৯), হোসেন আলী (২৯), আ. রফিক (৪৫) সহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোরবেলা ফজরের নামাজের সময় এবং দ‚রপাল্লার বাসগুলো শহরে আসার পর যাত্রীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় পাগলা কুকুরের দল। এছাড়াও রাতে তারাবী নামাজের পর মুসল্লীদের উপর কুকুরের হামলার ঘটনা ঘটছে। শহরের ডাকবাংলা পাড়ায় একটি কুকুর ৭ জনকে আহত করে। এছাড়াও পৌরসভা, হাটির পাড়া, ঘোষ পাড়া, পৌরবাজার, দাদামোড়, খলিলগঞ্জ , এলজিইডি মোড়, মাঠের পাড়, রাজারহাট এলাকায় বেশি কুকুর আতংক বিরাজ করছে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন মাসুদ জানান, গত তিনদিনে শতাধিক রোগী পাগলা কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে। এরমধ্যে একজন রোগীকে ভর্তি করা হলেও বাকিরা ভ্যাকসিন নিয়ে চলে গেছে। হসেপাতালে গত সপ্তাহে ১ হাজার ভেকসিন সরবরাহ আসায় আক্রান্তদের সেবা দিতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
এদিকে কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল জানান, কুকুর নিধনে আইনগত বিধি নিষেধ থাকায় আমাদের কিছুই করার নেই। তারপরও বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগকে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :