আ স ম ফিরোজ এমপি : মাদক নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযানকে আমি সমর্থন করছি। ক্রসফায়ার আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও যারা এই ঘৃন্য পেশার সাথে জড়িত, তারা এই মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিবে। যারা প্রকৃত দোষী তারাই যেন এই অপরাধের শাস্তি পায়। অন্যায়ভাবে যাতে কাউকে ফাঁসানো না হয়। অন্যায়ভাবে যাতে কেউ হত্যার শিকার না হয় বা হেনস্থা না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আমি কামনা করবো, যাতে সত্যিকার অপরাধীরা শাস্তি পায়। অনেকে বলে যে, বিচারবহির্ভূত হত্যা চলছে। কিন্তু এটাও সত্য যে, যারা এই মাদক ব্যবসায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হলেও কোন না কোনভাবে রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। তারা বিচারে গেলে তাদের বিরুদ্ধে আর কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
কোর্ট-কাচারি, পুলিশ প্রশাসনসহ অনেকের কাছ থেকেই মাদক ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা পায়। এই দেশের শত্রু, এই সমাজের শত্রু মাদক ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে, তারা আইন কে কিনে ফেলতে পারে। প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ক্রসফায়ার ছাড়া তাদের আর কোন উপায় নেই। দেশ ও দেশের তরুণ সমাজ কে বাঁচাতে এখনই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হবে। এই দেশের আগামীদিনের তরুণ সমাজের কথা ভেবে প্রশাসন ক্রসফায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের এই লিষ্ট বহুদিন থেকে প্রশাসন করছে। আমাদের সমাজকে এই মরণঘাতি মাদক থেকে বাঁচাতে হলে, এই ঘৃণ্য মাদক থেকে বাঁচাতে হলে, আমাদের সন্তানদেরকে বাচাঁতে হলে, দেশকে মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাচাঁতে হলে ক্রসফায়ারের বিকল্প আছে বলে আমার জানা নেই।
পরিচিতি : চিপ হুইফ, জাতীয় সংসদ / মতামত গ্রহণ : মো . এনামুল হক এনা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :