খালেকুজ্জামান: অতিরিক্ত বাড়ি ভাড়া অরাজকতার একটা ক্ষেত্র। বাড়ির ট্রেক্স নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম, নীতিমালা, বিচার বিবেচনা সংযত নাই। বাড়ি ভাড়ার আইন বিধিগত কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ২৫ চছরে ৪০০% বাড়ির ভাড়া বাড়লো কিন্তু এই ২৫ বছরে মানুষের আয় সেই পরিমান বাড়েনি। আর এই বিশাল দূরত্বটা একটি বড় অসঙ্গতি। অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই যেভাবে দেখা গিয়েছে, তাতে নগর জীবনে মানুষ এমনিতেই অতিষ্ঠ। যার কারণ পরিবহনে অরাজকতা, ১০ মিনিটের রাস্তায় ২ ঘন্টা সময় লাগা এবং খাদ্যদ্রব্য ও ঔষধে ভেজাল। রমজান আসলে দেখা যায় হঠাৎ করে একটি অভিযান শুরু হয়। অভিযানের চেয়েও সার্বক্ষণিক তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। সারা বছরের অবহেলায়, উদাসীনতা কাটিয়ে হঠাৎ করে অভিযান শুরু হয়ে যায়। বর্তমানে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। মাদক ধীরে ধীরে পাহাড় আকার রুপ ধারণ করেছে। দিনে দিনে যখন মাদকের ভয়বহতা বাড়ছিলো, তখন সরকার এই ব্যাপারে নিশ্চুপ ছিলো। আবার হঠাৎ করে এখন বিচারবহির্ভূত একটা হত্যাকান্ড শুরু করে দিয়েছে। মাদকের মূলে না ঢুকে তাৎক্ষনিক সময়ের জন্য যে ব্যবস্থা গৃহীত হয়, বাস্তবে বহুগুন সমস্যা বেড়ে যায়। বাড়ি ভাড়ার সমস্যাটা হচ্ছে, যা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে এবং মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যয়বহুল করে। এই অবস্থায় সৎ উপার্জনকারিরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নগর জীবনে যে স্বস্থি বা সুবিধা, সেই বিষয়ের পরিবর্তে এটি একটি দুর্ভোগ বা অসহনীয় পর্যায়।
ইতোমধ্যে বাড়ি ভাড়া যে পর্যায়ে গেছে, তার জন্য একটি নির্দিষ্ট আইন বা বিধান করা জরুরি, তা এখনো হয়ে উঠেনি। বাড়ির মালিকদের সারা জীবনের সঞ্চয়ের মধ্য দিয়ে যারা বাড়ি নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন, তাদের জন্য যেমন একটি ব্যবস্থা থাকা দরকার, তেমনি যারা ভাড়া থাকছেন তাদেরও আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে ব্যয় যেন হয়, হঠাৎ করে অসঙ্গতি পূর্ণ না হয়ে উঠে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মানুষ যেন বিপদগ্রস্থ না হয়,একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা দেখা দরকার।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, বাসদ/ মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :