শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০১৮, ০৪:১২ সকাল
আপডেট : ৩০ মে, ২০১৮, ০৪:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবারের বাজেটের আকার যতো বড় হবে জনগণের ওপর করের বোঝা ততো বাড়বে

রফিক আহমেদ: বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা ২০১৮- ১৯ অর্থবছরের বাজেটোত্তর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এবারের বাজেটের আকার যত বড় হবে জনগণের উপর করের বোঝা তত বাড়বে। কর ও দর বৃদ্ধির অতীতের ধারাবাহিকতা থেকে মুক্ত হতে পারবে না এবারের বাজেট। বাজেট বড় বলে অর্থমন্ত্রীর আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর আর জনগণের ব্যয় বৃদ্ধি ও কর বৃদ্ধির আতঙ্ক নিয়ে আসছে এবারের বাজেট। গতকাল মঙ্গলবার একান্ত সাক্ষাৎকার বাসদ নেতা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, আগামী জুন মাসে জাতীয় সংসদে ২০১৮- ১৯ অর্থবছরের বাজেট আসছে। এবারের বাজেট ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা হবে বলে আলোচনা হচ্ছে। গতবার বাজেট ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। একবছরে বাজেট বাড়বে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সরকারের আয় মানে জনগণের ব্যয়। সরকারের আয়ের উৎস প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর, বিভিন্ন ধরনের শুল্ক ও কর বহির্ভূত আয়, জমির খাজনা, জমি কেনাবেচাসহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রাপ্ত আয়। বাংলাদেশে আয়কর দেয় এমন মানুষের সংখ্যা ১৬/১৭ লাখের বেশি নয়। বাংলাদেশের বড় বড় ব্যবসায়ীদের নাম, দেশে বিদেশে তাদের অর্থ বিত্ত, বাড়ি ঘরের কথা পত্র পত্রিকায় এলেও বৃহৎ করদাতা হিসেবে তাদের নাম কখনো আসে না।

তিনি বলেন, বৃহৎ করদাতা হিসেবে নাম আসে জর্দা ফ্যাক্টরীর মালিকের নাম। কিন্তু নাম না এলেও বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি কর দেয় যারা তারা দেশের সাধারণ মানুষ। ভ্যাটসহ পরোক্ষ কর থেকে আসে ৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। ফলে বাজেট যত বড় হবে জনগণের উপর করের চাপ তত বাড়বে। এর সাথে আছে বিদ্যুৎ গ্যাস পানির দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি করা। জনগণ তো সর্বংসহা তাই তাদেরকে নিংড়ে নিতে শাসকদের উৎসাহ যত বেশি, জনগণের জন্যে বরাদ্দ বাড়াতে ততই তারা উদাসীন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি খাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় কম অথচ সামরিক বেসামরিক আমলাদের জন্য বরাদ্দ করতে টাকার কোন সমস্যা হয় না। ডেপুটি সেক্রেটারির জন্য গাড়ী রক্ষনাবেক্ষণে মাসে ৫০ হাজার টাকা, যুগ্ম সচিবদের জন্য মোবাইল ফোন কেনা বাবদ ৭৫ হাজার টাকা, বাবুর্চী দাড়োয়ানের জন্য মাসে ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হলো বাজেটের আগেই। অথচ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধ নেই, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা গবেষণায় বরাদ্দ কম, এমপিও ভুক্তির জন্য শিক্ষকেরা রাস্তায়, গ্রাম পুলিশরা ৩৪০০ টাকা বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে, কৃষক ধানসহ ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। - আমাদের অর্থনীতি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়