রাশিদ রিয়াজ : মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তিউনিশিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইন এল আবিদাইন বেন আলী সহ সাবেক ১৪ কর্মকর্তার বিচার শুরু করেছে দেশটির ট্রুথ এন্ড ডিগনিটি কমিশন। বেন আলীর শাসনামলে ১৯৯১ সালে দেশটির এনহাদা পার্টির নেতা কামেল মাতমাতিকে গ্রেফতারের পর নির্যাতনে তিনি কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেন। ৬ দশকেরও বেশি সময় বেন আলী ক্ষমতায় থাকার পর ২০১১ সালে আরব বসন্তে তিনি ক্ষমতা হারান এবং ২০১৪ সালে দেশটিতে ট্রুথ এন্ড ডিগনিটি কমিশন গঠন হয়।
এরপর কমিশনটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে এনহাদা নেতা মাতমাতির স্ত্রী লাতিফা তার স্বামীর হত্যা ও নির্যাতনকারীদের বিচারের দাবি জানান। তিনি বলেন, আমাদের বছরে পর বছর ভয়াবহ সময় কাটাতে হয়েছে। আমি আমার স্বামীর লাশ ফিরে পাইনি। কিন্তু এখন আমরা খুশী কারণ সত্য উদঘাটিত হয়েছে।
তিউনিশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বেন আলী বর্তমানে সৌদি আরবে আশ্রয় নিয়েছেন। তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দাল্লা খালেল সহ আরো সাবেক ১২ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। বিচার শুরুর দিনটিকে ব্যতিক্রম হিসেবে অভিহিত করে একজন আইনজীবী হাবিব খেদার বলেন, আমরা আংশিক সত্য জানি কিন্তু আদালতে বাকি সত্য উদঘাটিত হবে বলে আশা করছি।
তিউনিশিয়ায় ট্রুথ এন্ড ডিগনিটি কমিশন গঠনের পর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ৬২ হাজার অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে ৩২টি ঘটনার বিচার হতে যাচ্ছে আদালতে। কমিশন ৫০ হাজার মানুষের সাক্ষাতকার নিয়ে অভিযোগ ও তথ্য সংগ্রহ করেছে। আরাবিয়া ইউকে
আপনার মতামত লিখুন :